বগুড়ার গাবতলী- সোনাতলা সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাকা সড়কটি গত আড়াই বছর ধরে বেহাল অবস্থা।
এই সড়কটির ছয় কিলোমিটার অংশ জুরে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। দেখে মনে হবে না এটি কোন পাকা সড়ক। কাঁদা মাটি আর পানিতে জরাজীর্ণ অবস্থা সড়কটির। এ অবস্থায় এই সড়কে চলাচল কারী লোকজনদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটিতে খানাখন্দ সৃষ্টির জন্য অতিরিক্ত বালু বোঝাই ট্রাক চলাচলকে দায়ী করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাবতলী উপজেলার নাড়ুয়ামালা থেকে সুখানপুকুর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার অংশে সড়কে অংসখ্য গর্ত এবং ছোট বড় খানাখন্দের মধ্যেই ভ্যান, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। পূর্ব বগুড়ার এই সড়কটিতে বড় যানবাহন চলাচল একেবারই কম। ছোট ছোট যানবাহনগুলো চলাচল করতে গিয়ে খানাখন্দের কারণে একদিকে যেমন সময় বেশি লাগছে, অন্যদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
নাড়ুমালা গ্রামের ভ্যানচালক রহমান বলেন, অতিরিক্ত বালু বোঝাই ডাম ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটি নষ্ট হচ্ছে। অবস্থা এতটাই খারাপ যে ভ্যান রিকশা চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। চড়পাড়া গ্রামের আলী বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে পানি জমে থাকে কয়েকদিন ধরে। এ অবস্থায় এই সড়কে পাঁয়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর।
সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক রহিম জানান, পুর্ব বগুড়ার এই সড়কে প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে। ছয় কিলোমিটার সড়কে দুর্ভোগের শেষ নাই, দেখার যেন কেউ নেই।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধিদপ্তরের অধীনের এই সড়কটি সর্বশেষ ২০১৮ সালে সর্বশেষ সংস্কার কাজ শেষ করা হয়। মাত্র ৪ বছরে ২০২২ সাল থেকে সড়কটির কার্পেটিং উঠে যেতে শুরু হয়। এরপর গত আড়াই বছরে ১৩ কিলোমিটার সড়কটির বিভিন্ন অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হতে থাকে। এর মধ্যে নাড়ুয়ামালা থেকে সুখানপুকুর ৬ কিলোমিটার অংশ সবচেয়ে বেশি খারাপ।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস হোসেন বিশ্বাস বাংলাদেশ সময়কে বলেন, ‘এই সড়কটিতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। আমরা অনেক আগেই সড়কটি সংস্কারের জন্য ১৬ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারন ধরে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ না আসায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।’