ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ঢাকা ওয়াসায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ: ডিএমডি (অর্থ ও প্রশাসন) আকতারুজ্জামানকে বের করে দিয়েছে কর্মচারীরা মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যানী পূজা মিঠাপুকুরে জোরপূর্বক কৃষকের জমির ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন: জনমনে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা শ্রীমঙ্গলে সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক- ৬ যশোরে টেন্ডার নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার ওজন নিয়ে সমালোচনার জবাবে সোজাসাপটা জবাব দিলেন সামান্থা সংসার করতে চান বাঁধন, একান্ত সঙ্গীর খোঁজে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিলেন বাইডেন ঝিনাইদহের সাবেক এমপি তাহজীব সিদ্দিকী গ্রেপ্তার বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

কয়রায় শ্রেণিকক্ষের অভাবে গাছতলায় চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

  • কয়রা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ১০:২৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

শ্রেণিকক্ষের অভাবে গাছতলায় চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নে এস ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাবে বিদ্যালয়ের মাঠের গাছতলায় শ্রেণিকক্ষের পাঠদান করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশে বাঁধার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। ভালো ফলাফলের জন্য ২০২৪ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার শ্রেষ্ঠ স্কুলের গৌরব অর্জন করে।

সরোজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করে। বিদ্যালয়ে সাতটি কক্ষ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র দু’টি কক্ষ। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে আঙিনায় নিচু টিনের নড়বড়ে অস্থায়ীভাবে ঘর বানিয়ে অসহ্য গরমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।

বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইশা আক্তার বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে গাছতলায় বসে পাঠদান করতে হয়। কয়রা -খুলনা সড়কের পাশে বিদ্যালয়টি হওয়ায় উচ্চ শব্দের কারণে আমরা পড়াশোনায় ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারি না।

বিদ্যালয়ের পাশের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, কয়রা উপজেলার মধ্যে পড়াশুনা ও খেলাধুলায় সেরা বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ে নতুন ভবন প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই,একটি নতুন ভবন নির্মাণ করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনার ব্যবস্থা করা হোক।

এস ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান কয়রা সাংবাদিক ফোরাম কে বলেন, শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। ১৯৫৪ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১২৭ জন বৃত্তি প্রাপ্ত হয়। এমনি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

কয়রা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার কর্মকার বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষা-কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বিষয়টি আমি জেনেছি । ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা ওয়াসায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ: ডিএমডি (অর্থ ও প্রশাসন) আকতারুজ্জামানকে বের করে দিয়েছে কর্মচারীরা

কয়রায় শ্রেণিকক্ষের অভাবে গাছতলায় চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

আপডেট সময় ১০:২৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নে এস ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাবে বিদ্যালয়ের মাঠের গাছতলায় শ্রেণিকক্ষের পাঠদান করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশে বাঁধার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। ভালো ফলাফলের জন্য ২০২৪ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার শ্রেষ্ঠ স্কুলের গৌরব অর্জন করে।

সরোজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করে। বিদ্যালয়ে সাতটি কক্ষ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র দু’টি কক্ষ। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে আঙিনায় নিচু টিনের নড়বড়ে অস্থায়ীভাবে ঘর বানিয়ে অসহ্য গরমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।

বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইশা আক্তার বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে গাছতলায় বসে পাঠদান করতে হয়। কয়রা -খুলনা সড়কের পাশে বিদ্যালয়টি হওয়ায় উচ্চ শব্দের কারণে আমরা পড়াশোনায় ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারি না।

বিদ্যালয়ের পাশের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, কয়রা উপজেলার মধ্যে পড়াশুনা ও খেলাধুলায় সেরা বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ে নতুন ভবন প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই,একটি নতুন ভবন নির্মাণ করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনার ব্যবস্থা করা হোক।

এস ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান কয়রা সাংবাদিক ফোরাম কে বলেন, শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। ১৯৫৪ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১২৭ জন বৃত্তি প্রাপ্ত হয়। এমনি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

কয়রা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার কর্মকার বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষা-কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বিষয়টি আমি জেনেছি । ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।