খুলনার কয়রা উপজেলা “কয়রা সাংবাদিক ফোরাম” এর অফিস দখল করে ব্যক্তিগত অফিস বানানোর সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করায় সাংবাদিক কে প্রচন্ড মারধর করেছে কয়রা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম.এ হাসান।
বৃহম্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কয়রা সদরে মদিনাবাদ লঞ্চঘাটে উপজেলা বিএনপি নেতা এম. এ হাসানের নেতৃত্বে মারধরের ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক তারিক লিটু কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি।
মারধরে আহত সাংবাদিককে স্থানীয় বাসিন্দা ও কয়েকজন সাংবাদিক উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। রাতে অবস্থানর অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কয়রা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়। তিনি মাথা, কান, বুক ও পায়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন।
সাংবাদিকে মারধরের বিষয়ে কয়রা অবস্থানরত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কে জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবির হোসেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম. এ হাসান কয়রা সদরে কয়রা সাংবাদিক ফোরামের অফিস জোরপূর্বক দখল করে ব্যক্তিগত অফিস বানিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় তাঁর লোকজন নিয়ে আড্ডা দেন। তিনি কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে জনসংযোগের সুবিধার জন্য অফিস রুমটি দখলে নিয়েছিল বলে তিনি সাংবাদিক ফোরামের সদস্যদের জানিয়েছিলেন। দখলের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটুকে মারধর করা হয়।