গাজীপুরে বেক্সিমকো ফার্মার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সহকারী ক্যাশ অফিসারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রংপুরের মরার পাড়া গ্রামের আবু বাহারের ছেলে মো. আবু বাশার (২৯)। তিনি নাওজোর এলাকায় ফয়সাল টাওয়ারে অবস্থিত বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস্ লিমিটেডের সহকারী অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়া একই জেলার বাউল বাড়ী গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪০), মির্জাপুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া (২২) ও জামালপুরের টিকারাকান্দি গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে আতিক হাসান (২৯) গ্রেপ্তার হয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর সাব্বির আহম্মেদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের একাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত আসামী আবু বাশার গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে যথাসময়ে অফিসে না আসায় আসামির ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করলে মোবাইল নম্বর বন্ধ পান। ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় এবং আসামিকে অফিসে না পাওয়ায় বাদীর মনে সন্দেহ সৃষ্টি হলে বিষয়টি তিনি তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান।
এক পর্যায়ে ক্যাশ সুপারভাইজার আতিক হাসানের সাহায্যে বাদীর কাছে থাকা চাবি দিয়ে টাকা রাখার ভল্টের তালা খুলে অফিসের রেজিষ্টার পর্যাবেক্ষন করে দেখতে পান যে, ভল্টে রাখা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং নুভিস্তা ফার্মাসিউটিক্যালসের ৫৬ হাজার ৫৫৮ টাকা সহ সর্বমোট ৬২ লাখ ৭৩ হাজার ৭২৫ টাকা নাই। এ বিষয়ে বাসন থানার মামলা দায়ের করা হয়।
ওসি আরও বলেন, মামলার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক এবং বিকাশ ব্যবসায়ী ইব্রাহিমকে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার বাউলবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে আত্মাসাৎকৃত নগদ ছয় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে এজাহার নামীয় আসামি আবু বাশারকে নীলফামারীর সবুজপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের নগদ ৬২ লাখ ১৭ হাজার ১৬৭ টাকা প্রতারণা করে আত্মাসাৎ করেন এবং আত্মসাৎকৃত মোট টাকার মধ্যে ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যাংকে, সহযোগী আসামী আব্দুর রাজ্জাকের কাছে ১০ লাখ এবং অপর সহযোগী বেক্সিমকোতে কর্মরত ক্যাশ সুপার ভাইজার আতিক হাসানের কাছ ৫ লাখ টাকা জমা রাখেন।
এছাড়া অবশিষ্ট টাকা বিভিন্ন খাতে খরচ করেছেন বলে জানান। পরে ক্যাশ সুপার ভাইজার আতিক হাসানকে বাসন থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।