বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে চীনে যাওয়ার সময় ধর্ষণ মামলার আসামী দুই চীনা নাগরিককে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানায় তাদের হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের মেট্রোপলিটন আদালতে গ্রেপ্তারকৃতদের হাজির করা হলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চীনের ওয়াং চাও ইয়াং (২৮) এবং ইয়াং জিং (৪২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন মোজার মিল এলাকার সাদিকুলের বাড়িতে ভাড়া থেকে ব্যবসা করতেন চীনের তিন নাগরিক ওয়াং চাও ইয়াং (২৮), ওয়াং জাওফিং (৪৫) ও ইয়াং জিং (৪২)। চুল দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির কারখানা রয়েছে তাদের। ওই বাড়ির পাশের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন ঢাকার আশুলিয়া থানার কুরগাঁও এলাকার ৪০ বছর বয়সের এক নারী। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর গত জুলাই মাসে ওই নারী চীনের নাগরিক ওয়াং চাও ইয়াং বিয়ে করেন। বিয়ের মাসখানেক পর গত ২৩ আগস্ট রাতে স্বামীর সহায়তায় অপর দুইজন তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় স্বামীসহ বিদেশি ওই তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ২৭ আগস্ট থানায় মামলা করেন ওই নারী। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন ।
মঙ্গলবার দুপুরে পালিয়ে চীনের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ ওয়াং চাও ইয়াংকে এবং ইয়াং জিংকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে। রাতেই তাদেরকে কাশিমপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জিএমপি’র কোর্ট ইন্সপেক্টর জাহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার বিকেলে গাজীপুরের মেট্রোপলিটন আদালতে গ্রেফতারকৃতদের হাজির করা হলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ইমিগ্রেশন পুলিশ মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) দুই চীনা নাগরিক থানায় হস্তান্তর করে। বুধবার বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।