ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
মৌলভীবাজারে রোজাদার পথচারীদের মাঝে তারেক রহমানের উপহার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬টি সংস্থার নাম পরিবর্তন গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীদের আবির্ভাব বরদাস্ত করা যাবে না: ইশরাক কারা নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবে, জানালেন হাইকোর্ট ফটোশপ করে আহত দেখিয়ে সহায়তা দাবি, ধরা খেলেন গাজীপুরের নয়নসহ ৩ জন লোহিত সাগরে ফের ইসরায়েলি জাহাজে হামলার হুমকি মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুরটির শারীরিক অবস্থার অবনতি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ‘ডিক্লারেশন’ বাতিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসবে না ইরান: মাসুদ পেজেশকিয়ান অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই আরব সাগরে যৌথ মহড়া: ইরান-রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত চীন পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা

অর্থপাচারের মামলায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন খালাস

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন অর্থপাচারের মামলায় হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেন।

আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিল মঞ্জুরের পাশাপাশি তারেক রহমানকেও অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা এ মামলায় অভিযোগ ওঠে যে, ঘুষ হিসেবে নেওয়া ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৬ জুলাই এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং ২০১১ সালের ৬ জুলাই বিচার শুরু হয়।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন মামলার রায়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। তবে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। পরে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন। একই সঙ্গে মামুনের ৭ বছরের সাজা বহাল থাকলেও তার অর্থদণ্ড ৪০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়।

আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তারেক রহমানের আইনজীবীরা নতুন আইনি পদক্ষেপ নেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান। শুনানি শেষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তাদের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেন সর্বোচ্চ আদালত।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মৌলভীবাজারে রোজাদার পথচারীদের মাঝে তারেক রহমানের উপহার

Verified by MonsterInsights

অর্থপাচারের মামলায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন খালাস

আপডেট সময় ০১:০৪:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন অর্থপাচারের মামলায় হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেন।

আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিল মঞ্জুরের পাশাপাশি তারেক রহমানকেও অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা এ মামলায় অভিযোগ ওঠে যে, ঘুষ হিসেবে নেওয়া ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৬ জুলাই এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং ২০১১ সালের ৬ জুলাই বিচার শুরু হয়।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন মামলার রায়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। তবে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। পরে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন। একই সঙ্গে মামুনের ৭ বছরের সাজা বহাল থাকলেও তার অর্থদণ্ড ৪০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়।

আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তারেক রহমানের আইনজীবীরা নতুন আইনি পদক্ষেপ নেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান। শুনানি শেষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তাদের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেন সর্বোচ্চ আদালত।