ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
২০০১ সালের পরে দেশে যা নির্বাচন হয়েছে, তা তামাশার নির্বাচন হয়েছে: এম নাসের রহমান রোজা না রাখায় বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে উঠবস করালেন বণিক সমিতির সভাপতি মুক্তাগাছায় পশুর হাটে হামলা, ইজারার লক্ষাধিক টাকা লুট পাবনা পৌরসভার সাপ্লাই পানিতে ময়লা ও তীব্র দুর্গন্ধ, অতিষ্ঠ শহরবাসী জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান সমস্যা সামাধান করতে হবে: মাওলানা মুসা বিন ইযহার বগুড়ায় গলায় চাকু ঠেকিয়ে টাকা ও মোবাইল ছিনতাই নরসিংদীতে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার পাইকগাছায় চিংড়ি ঘেরে পানি তুলতে না দিয়ে  চাঁদার দাবির প্রতিবাদে মানববন্ধন লক্ষ্মীপুরে সেমাই উৎপাদনে ক্ষতিকারক রং, ব্যবসায়ীকে জরিমানা লাখ টাকা তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ পাবনায় পৃথক ঘটনায় ট্রেনের ধাক্কায় ও কাটা পড়ে নিহত ২ ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ছাত্রদল নেতাসহ দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা

অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই

অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী

অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী (৭৯) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩১ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর সিঙ্গাপুর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি ও আমার বোন বাবার শয্যার পাশে ছিলাম। আজই বাবার মরদেহ দেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।”

বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী চামড়ার ব্যবসায় যুক্ত হন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পান। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে উৎপাদিত চামড়ার জুতা বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে রপ্তানির পাশাপাশি দেশের জুতার বাজারেও অ্যাপেক্স অন্যতম শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

১৯৭২ সালে তিনি ‘মঞ্জুর ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামে একটি কোম্পানি গড়ে তোলেন এবং কমিশনের ভিত্তিতে চামড়া বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। এরপর ১৯৭৬ সালে ১২ লাখ ২২ হাজার টাকায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন ওরিয়েন্ট ট্যানারি কিনে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাপেক্স ট্যানারি। তারও ১৪ বছর পর ১৯৯০ সালে যাত্রা শুরু করা অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার এখন দেশের শীর্ষ জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।

শুধু ব্যবসায়ী নয়, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী দেশের অর্থনীতি ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যুর খবরে দেশের ব্যবসায়ী মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

২০০১ সালের পরে দেশে যা নির্বাচন হয়েছে, তা তামাশার নির্বাচন হয়েছে: এম নাসের রহমান

Verified by MonsterInsights

অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই

আপডেট সময় ০৩:১৪:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী (৭৯) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩১ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর সিঙ্গাপুর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি ও আমার বোন বাবার শয্যার পাশে ছিলাম। আজই বাবার মরদেহ দেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।”

বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী চামড়ার ব্যবসায় যুক্ত হন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পান। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে উৎপাদিত চামড়ার জুতা বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে রপ্তানির পাশাপাশি দেশের জুতার বাজারেও অ্যাপেক্স অন্যতম শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

১৯৭২ সালে তিনি ‘মঞ্জুর ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামে একটি কোম্পানি গড়ে তোলেন এবং কমিশনের ভিত্তিতে চামড়া বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। এরপর ১৯৭৬ সালে ১২ লাখ ২২ হাজার টাকায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন ওরিয়েন্ট ট্যানারি কিনে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাপেক্স ট্যানারি। তারও ১৪ বছর পর ১৯৯০ সালে যাত্রা শুরু করা অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার এখন দেশের শীর্ষ জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।

শুধু ব্যবসায়ী নয়, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী দেশের অর্থনীতি ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যুর খবরে দেশের ব্যবসায়ী মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।