ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের তেজগাঁও অংশে তীব্র যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারীরা।
রোববার (২ মার্চ) সকাল থেকেই এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার জন্য গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, স্বয়ংক্রিয় টোল পদ্ধতির পরিবর্তে হাতে করে টোল আদায় করায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আখতার গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পরামর্শ অনুযায়ী তেজগাঁও থেকে বিমানবন্দরগামী পথে স্বয়ংক্রিয় টোল বুথ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
পুলিশের মতে, এটি যানজট নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। তবে বাস্তবে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায়ের ফলে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে এবং টোল আদায়ে অতিরিক্ত সময় লাগছে।
এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক নির্দেশনায় ডিএমপি যানজট এড়াতে উত্তরাগামী গাড়িগুলোকে মহাখালী র্যাম্প ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু এখনো যানজট নিরসনে কার্যকর সমাধান পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারীরা।
এদিকে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৮০ কিলোমিটার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নতুন এই সীমা কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) কোম্পানি লিমিটেডের যান চলাচল, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) হাসিব হাসান খান।
শনিবার (১ মার্চ) এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সাইনবোর্ডে ৮০ কিলোমিটার গতিসীমার নির্দেশনা দেখা গেছে। সেতু কর্তৃপক্ষ এবং ডিএমপি অনুমোদন দেওয়ার পর এই পরিবর্তন কার্যকর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসিব খান।
নতুন গতিসীমা চালু হলেও তেজগাঁওয়ের টোল ব্যবস্থাপনার কারণে যানজট আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে অফিসগামী এবং বিমানবন্দরমুখী যাত্রীদের দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হচ্ছে। দ্রুত স্বয়ংক্রিয় টোল ব্যবস্থা চালু করা না হলে যানজট পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।