মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানিয়েছেন। এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথম কোনো বিদেশি নেতার সফর।
তবে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের বৈঠকটি বিতর্কিত হয়ে ওঠে ট্রাম্পের এক মন্তব্যের কারণে।
বৈঠকে, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু গাজার ভবিষ্যৎ এবং ফিলিস্তিনিদের উপত্যকা থেকে অন্যত্র সরানো নিয়ে আলোচনা করেন। এই আলোচনায় ট্রাম্প গাজা নিয়ে আরও উচ্চাভিলাষী প্রস্তাব দেন, যা তিনি যুদ্ধবিরতির পর থেকেই পেশ করে আসছেন।
ট্রাম্পের মতে, “গাজার একটি গ্যারান্টি হলো তারা (ফিলিস্তিনিরা) শেষ পর্যন্ত মারা যাবে।” তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের যুদ্ধবার বার ঘটেছে এবং এটি আবার ঘটতে চলেছে। আমি আশা করি আমরা এমন কিছু করতে পারব, যাতে গাজায় তারা ফিরে যেতে চাইবে না। সেখানে তারা মৃত্যু এবং ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই পেয়েছে।”
ট্রাম্প আরও প্রস্তাব দেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো গাজাকে জনশূন্য করে দখল করা এবং সেখানে ভবিষ্যতে একটি “মনোরম পরিকল্পনা” বাস্তবায়ন করা। তিনি বলেন, “আমি একটি দীর্ঘমেয়াদি মালিকানার কথা বলছি, এর মাধ্যমে সম্ভবত সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে দুর্দান্ত স্থিতিশীলতা আসবে।”
এর আগে, ট্রাম্প ২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানে স্থানান্তরের প্রস্তাব করেছিলেন। তার মতে, “আমরা মিসর ও জর্ডান দেশের জন্য অনেক কিছু করি এবং তারা এটি করবে।” এই প্রস্তাবটি ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির পর তিনি পেশ করেছিলেন, যেখানে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের কথা বলা হয়েছিল।