ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ভাই হত্যার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা  বগুড়া সোনাতলায় গন্ধগোকুল উদ্ধার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মেশিনারিজ ক্রয়ে মসিকের তিন কর্মকর্তা ইতালি ভ্রমণ কমলগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জের মধু মিয়া নামক এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কানাডার সহায়তা চাইলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠকের তোড়জোড় শুরু ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি সাফজয়ী ফুটবলার সুমাইয়াকে শর্ত সাপেক্ষে টঙ্গীতে সাদপন্থিদের ইজতেমা করার অনুমতি বিনা চাষ পদ্ধতিতে আলু উৎপাদনে সফলতা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত জনপ্রশাসন সংস্কার প্রতিবেদন আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ

বিনা চাষ পদ্ধতিতে আলু উৎপাদনে সফলতা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আলু চাষের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে, যা দেশটির কৃষি খাতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এখন আলু কেবল তরকারির উপাদান নয়, এটি খাদ্যশৃঙ্খলে অন্যতম প্রধান ফসল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে দীর্ঘদিনের প্রচলিত চাষ পদ্ধতিতে মাটির গুণাগুণ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় এ সমস্যা সমাধানে গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের একদল গবেষক।

এ গবেষণা দল সংরক্ষণশীল চাষ পদ্ধতি (কনজারভেশন এগ্রিকালচার) ও বিনা চাষ (জিরো টিলেজ) পদ্ধতিতে আলু চাষ করে প্রাথমিক সফলতা অর্জন করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিনা চাষে আলুর ফলন প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে বেশি। এর পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে চাষের ফলে গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমে যাবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাহায্য করবে।

গবেষণাটি বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে চলমান। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হল মাটির উর্বরতা বজায় রেখে কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক হতে পারে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব খামার গবেষণাগারে আয়োজিত মাঠ গবেষণা পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান। তিনি জানান, গবেষণায় আলুর ‘বারি-৭ (ডায়মন্ড)’ জাত নিয়ে কাজ করা হয়েছে এবং তিনটি আলাদা চাষ পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিনা চাষ ও শতভাগ রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা পদ্ধতিতে ফলন প্রচলিত চাষের তুলনায় হেক্টরপ্রতি ২ টন বেশি পাওয়া গেছে।

গবেষকরা আশা করছেন, ২য় মৌসুমের ফলনও এই পদ্ধতিতে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় আরও বেশি হবে। গবেষণায় সাফল্য আসলে, কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন এবং এটি বাংলাদেশের কৃষি খাতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
Verified by MonsterInsights

বিনা চাষ পদ্ধতিতে আলু উৎপাদনে সফলতা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

আপডেট সময় ০৭:৫৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশে আলু চাষের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে, যা দেশটির কৃষি খাতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এখন আলু কেবল তরকারির উপাদান নয়, এটি খাদ্যশৃঙ্খলে অন্যতম প্রধান ফসল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে দীর্ঘদিনের প্রচলিত চাষ পদ্ধতিতে মাটির গুণাগুণ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় এ সমস্যা সমাধানে গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের একদল গবেষক।

এ গবেষণা দল সংরক্ষণশীল চাষ পদ্ধতি (কনজারভেশন এগ্রিকালচার) ও বিনা চাষ (জিরো টিলেজ) পদ্ধতিতে আলু চাষ করে প্রাথমিক সফলতা অর্জন করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিনা চাষে আলুর ফলন প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে বেশি। এর পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে চাষের ফলে গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমে যাবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাহায্য করবে।

গবেষণাটি বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে চলমান। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হল মাটির উর্বরতা বজায় রেখে কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক হতে পারে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব খামার গবেষণাগারে আয়োজিত মাঠ গবেষণা পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান। তিনি জানান, গবেষণায় আলুর ‘বারি-৭ (ডায়মন্ড)’ জাত নিয়ে কাজ করা হয়েছে এবং তিনটি আলাদা চাষ পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিনা চাষ ও শতভাগ রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা পদ্ধতিতে ফলন প্রচলিত চাষের তুলনায় হেক্টরপ্রতি ২ টন বেশি পাওয়া গেছে।

গবেষকরা আশা করছেন, ২য় মৌসুমের ফলনও এই পদ্ধতিতে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় আরও বেশি হবে। গবেষণায় সাফল্য আসলে, কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন এবং এটি বাংলাদেশের কৃষি খাতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।