গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের পর জাপান ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা গাজার আহতদের চিকিৎসা এবং গাজার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য নতুন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা গাজার অসুস্থ বা আহত ব্যক্তিদের জাপানে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য উপায় খুঁজছি।”
কিয়োডো নিউজ এজেন্সি থেকে আনাদোলু এজেন্সি এই তথ্য জানিয়েছে। ইশিবা সংসদীয় অধিবেশনে বলেছেন, “আমরা গাজার আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য জাপানে আনার উপায় খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা করছি।” এছাড়া, ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিশেষ কর্মসূচি চালু করার পরিকল্পনাও করেছেন তিনি।
এটি এমন এক সময়ে বলা হলো, যখন গাজায় ইসরায়েলের সামরিক হামলায় হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে। যুদ্ধ চলাকালে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে ৪৭,৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১১,৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এছাড়া ১১,০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন, যারা হয়তো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন।
এদিকে, জাপান মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে গাজার পুনর্নির্মাণে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত মাসে মালয়েশিয়ার সফরে ইশিবা বলেন, “জাপান ফিলিস্তিনের উন্নয়ন এবং গাজার পুনর্নির্মাণে সহায়তা করবে।” এর মধ্যে গাজায় হাসপাতাল, স্কুল এবং মসজিদ পুনর্নির্মাণের জন্য তহবিল গঠনে জাপান অংশীদার হবে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো দেশ এই আদেশ বাস্তবায়ন করার সাহস দেখায়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ৪৭,৫০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১১,৬০০ এরও বেশি।