২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর, ১৬ বছরের দীর্ঘ কারাবাস শেষে মুক্তি পেলেন মামুন। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী এলাকার বাসিন্দা মামুন দীর্ঘদিন পর মুক্তি পেয়ে প্রথমবারের মতো তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরতে পেরেছেন, যা কারা ফটকে এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি করেছে।
মামুন জানান, “৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে চাকরির তিন বছর বয়সে কারাগারে যাই। আমার একমাত্র মেয়ের বয়স এখন সাড়ে ১৫ বছর। দীর্ঘ এই সময় পর মেয়েকে নিজের বুকে জড়িয়ে নিতে পারলাম।”
মামুনের মতো আরও ১৩৬ জন বন্দির জীবন কেটেছে কাশিমপুর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দিনভর একে একে তারা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। নিজেদের হারানো চাকরি ফিরে পাওয়া এবং পুনর্বাসনে সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করবেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগারে ২২ জানুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় ১৭৮ জনের জামিননামা পাঠানো হয়। সেসব জামিননামা যাচাই-বাছাই শেষে অন্যকোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকার শর্তে বন্দিদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।