ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং হামাসের নেতাদের মধ্যে মতবিরোধের কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনীহা এবং বিভিন্ন দ্বন্দ্বের কারণে এ চুক্তি দীর্ঘস্থায়ী হওয়া কঠিন হতে পারে।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির শর্ত পালন করতে আগ্রহী নন। তিনি আবার যুদ্ধ শুরু করার পরিকল্পনা করতে পারেন এবং ইতিমধ্যে বলেছেন যে বর্তমান যুদ্ধবিরতি সাময়িক। পরিস্থিতি বদলালে তিনি চুক্তি ভঙ্গ করতে পারেন।
হামাসও যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি বন্দি বিনিময়ের সময় হামাস তাদের শক্তি প্রদর্শন করেছে এবং আবার যুদ্ধ শুরুর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তারা গাজায় নিজেদের শক্তি বজায় রাখতে চায়।
ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং বন্দি বিনিময়ের বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও, বিলম্বের কারণে চুক্তির বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। নেতানিয়াহু আগেও এই ধরনের আলোচনায় বিলম্ব করেছেন।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি কট্টরপন্থি বসতির লোকজনের সহিংসতা যুদ্ধবিরতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। নেতানিয়াহু এই সহিংসতা উসকে দিতে পারেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিষ্ক্রিয়তার কারণে ইসরায়েল এবং হামাস ফের সংঘর্ষে জড়াতে পারে। আগের মার্কিন প্রেসিডেন্টরা মধ্যপ্রাচ্য সংকটে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন, কিন্তু ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট নয়।
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি এখনও অনিশ্চিত। ইসরায়েলি ও হামাসের নেতাদের মধ্যে অবিশ্বাস ও মতভেদ চুক্তির স্থায়িত্বের জন্য প্রধান হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উভয় পক্ষই শান্তির পথে এগোলে কিছু সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হতে পারে।