সংবাদ প্রকাশের পর কুলাউড়ায় বন মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বাগান মালীর ২৫ বছর থেকে জবরদখল করে রাখা একটি ফরেস্ট কোয়ার্টার জবরদখলমুক্ত করেছে বন বিভাগ।
মঙ্গলবার (২১ জারুয়ারি) দুপুরে বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে জবরদখলকারীকে উচ্ছেদ করে সরকারি কোয়ার্টার বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে বন বিভাগ জানায়।
জানা যায়, গত ২৫ বছর থেকে বনবিভাগের কুলাউড়া রেঞ্জ কার্যালয়ের পশ্চিম পাশ্বের একটি টিনশেডের কোয়ার্টার ছিল। কোর্য়াটারে পূর্বে বনবিভাগের স্টাফরা বসবাস করলেও বিগত ২৫ বছর থেকে রেঞ্জ অফিসের বাগান মালী আকবর আলী উক্ত কোয়ার্টারে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু বিগত ৩ বছর আগে তিনি অবসরে গেলেও তৎকালীন বন মন্ত্রীর আত্বীয় পরিচয় দিয়ে তিনি কোয়ার্টারটি তিনি তার নিয়ন্ত্রণে রেখে গরু ও মোরগের খামার করে দখলে রেখেছিলেন জোরপূর্বক।
চাকুরি থেকে অবসর নেওয়ার পরও ৩ বছর যাবৎ বাগান মালীর দখলে সরকারি কোয়ার্টার
বনবিভাগের লোকজন তাকে কোয়ার্টারটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার বললেও তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে কোয়ার্টারের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে রাজি হননি। ফলে সম্প্রতি কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল আহাদ সিলেটে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করে প্রতিকার প্রার্থনা করেন। অবশেষে ডিএফওর নির্দেশে মঙ্গলবার বন বিভাগের কোয়ার্টারটি আকবর আলীর নিয়ন্ত্রণ থেকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকালে কুলাউড়া রেঞ্জের স্টাফ আমিনুল ইসলাম, বরমচাল বিট কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদু, নলডরী বিট কর্মকতা অর্জুন কান্তি দস্তগীর, গাজীপুর বিট কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সাবেক বাগান মালি আকবর আলী জানান, পরিত্যক্ত এই কোয়ার্টারটি আগের রেঞ্জার আমাকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন। আমি মোরগ আর গরু রেখেছিলাম। বর্তমানে কর্তৃপক্ষ আপত্তি করায় খালি করে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ জানান, আমার স্টাফরা কোর্য়াটারের অভাবে অন্যত্র ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। উক্ত কোয়ার্টার জবরদখলমুক্ত করায় এটি মেরামত করে বসবাসের উপযোগী করা হবে।