ঢাকা ০৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের উপর হামলা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার ৩৫ কেজি বাঘাইড় মাছ ও ১৫ কেজি মিষ্টিতে পোড়াদহ মেলা আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনা রেলওয়ে সেতুতে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএআইডি মহাপরিদর্শক পল মার্টিন বরখাস্ত শেখ হাসিনার বক্তব্য ভারতের জন্য জটিলতা সৃষ্টি করেছে: শশী থারুর বিনামূল্যে ক্যান্সার ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আগামী অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যা মামলার রায়: আসিফ নজরুল পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী পরিচালক বদরুন্নাহার সীমার সীমাহীন দুর্নীতি পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প: পিডি উজ্জ্বল মল্লিক ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে শত শত কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্লট হাতিয়ে নিয়েছে ময়মনসিংহে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে নির্বাচিত সভাপতি সম্পাদকসহ সকলের শপদ ও দায়িত্ব গ্রহণ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত শ্রীমঙ্গলের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিরার (৩০ জানুয়ারি) মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মঙ্গল লাল রবি দাসের স্ত্রী মিরা দাশসহ ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শ্রীমঙ্গল থানার ১নং মির্জাপুর ইউনিয়নের উত্তর বৌলাছড়া গ্রামের মৃত মনু মিয়ার পুত্র সুরুজ মিয়া গং মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত শ্রীমঙ্গলের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের মৌরসী জমিতে ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করছে। আমাদের মাথা গুজার মতো ঠাঁঁই নাই। আমার শ্বশুর রাম তারুয়া রুহী দাস ২০০১ সালে মো. মখলিছুর রহমানের নিকট থেকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার যাত্রাপাশা মৌজার জেএল নং-১১, এসএ খতিয়ান নং- ৫৬৮, আর এস ডিপি খতিয়ান নং ২৭৭, এসএ দাগ নং ৩০, আর এস দাগ নং ৪১, ২১ শতক ভূমির মধ্যে ১৩ শতক ভূমি ৩৩৫১ নং রেজিষ্টারী দলিল মূলে ক্রয় করে স্বত্ব দখলদার হন। বহু কষ্টে ১৩ শতক ভূমি আমাদের মাথা গুজার ঠাঁই করে বাড়ি তৈরির জন্য ক্রয় করে রেখেছিলেন। কিন্তু অভাব অনটনের কারণে ঘর বাড়ি তৈরী করতে পারেননি। আমরাও কয়েকটি বাঁশের খুটি পুতে ঘর তৈরীর প্রস্ততি নিয়েছিলাম, কিন্তু অর্থ অভাবে পারিনি। রাম তারুয়া রুহী দাসের মৃত্যুর পর দুই পুত্র মোহন লাল রবি দাস ও মঙ্গল লাল রবি দাস মৌরসী সূত্রে মালিক হন। পরবর্তীতে মোহন লাল রবি দাসের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী লক্ষী রানী ও তার চার পুত্র সম্ভু লাল রবি দাস, মঞ্জু লাল রবি দাস, সঞ্জু লাল রবি দাস, রঞ্জু লাল রবি দাস মালিক হন।

ইদানিং মির্জাপুর, কাশিপুর গ্রামের বাসিন্ধা সুরুজ মিয়া গং আমাদের বাঁশের পুতে রাখা খুটিতে ২৩/০১/২৪ ইং রাতের অন্ধকারে টিনের বেড়া ও ঘরের চালে টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর তৈরী করে নেয়। সে খুব অসৎ প্রকৃতির, পরের সম্পদ আত্নসাৎকারী লোক। রাম তারুয়া রবি দাস ও আমাদের উত্তরাধিকারীরা দীর্ঘদিন জীবিকার সন্ধানে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে থেকে মৃত্যুবরণ করায় নামজারি করানো সম্ভব হয় নাই। কিন্তু ভোগ দখলে কোন জটিলতা হয়নি। ২০২২ সালে নামজারী করানোর জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খোঁজ নিলে জানা যায় ২১ শতক ভূমি মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক এর নামে আর এস ৪১ দাগে রেকর্ড হয়েছে। বিষযটি অবগত হওয়ার পর ১১/০৫/২২ ইং লক্ষী রানী রবি দাসসহ অন্যান্য ওযারিশান বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত শ্রীমঙ্গল বরাবরে জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজারকে বিবাদী করে মামলা দেওয়া হয়। মামলা নং ৯০/২২ ইং। গত ০৬/০২/২৩ ইং বিজ্ঞ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মনু মিয়ার পুত্র সুরুজ মিয়া গং আমাদের তৈরি বাঁশের খটির ঘরে প্রবেশ করে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের উপর হামলা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

Verified by MonsterInsights

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৫:২১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত শ্রীমঙ্গলের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিরার (৩০ জানুয়ারি) মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মঙ্গল লাল রবি দাসের স্ত্রী মিরা দাশসহ ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শ্রীমঙ্গল থানার ১নং মির্জাপুর ইউনিয়নের উত্তর বৌলাছড়া গ্রামের মৃত মনু মিয়ার পুত্র সুরুজ মিয়া গং মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত শ্রীমঙ্গলের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের মৌরসী জমিতে ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করছে। আমাদের মাথা গুজার মতো ঠাঁঁই নাই। আমার শ্বশুর রাম তারুয়া রুহী দাস ২০০১ সালে মো. মখলিছুর রহমানের নিকট থেকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার যাত্রাপাশা মৌজার জেএল নং-১১, এসএ খতিয়ান নং- ৫৬৮, আর এস ডিপি খতিয়ান নং ২৭৭, এসএ দাগ নং ৩০, আর এস দাগ নং ৪১, ২১ শতক ভূমির মধ্যে ১৩ শতক ভূমি ৩৩৫১ নং রেজিষ্টারী দলিল মূলে ক্রয় করে স্বত্ব দখলদার হন। বহু কষ্টে ১৩ শতক ভূমি আমাদের মাথা গুজার ঠাঁই করে বাড়ি তৈরির জন্য ক্রয় করে রেখেছিলেন। কিন্তু অভাব অনটনের কারণে ঘর বাড়ি তৈরী করতে পারেননি। আমরাও কয়েকটি বাঁশের খুটি পুতে ঘর তৈরীর প্রস্ততি নিয়েছিলাম, কিন্তু অর্থ অভাবে পারিনি। রাম তারুয়া রুহী দাসের মৃত্যুর পর দুই পুত্র মোহন লাল রবি দাস ও মঙ্গল লাল রবি দাস মৌরসী সূত্রে মালিক হন। পরবর্তীতে মোহন লাল রবি দাসের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী লক্ষী রানী ও তার চার পুত্র সম্ভু লাল রবি দাস, মঞ্জু লাল রবি দাস, সঞ্জু লাল রবি দাস, রঞ্জু লাল রবি দাস মালিক হন।

ইদানিং মির্জাপুর, কাশিপুর গ্রামের বাসিন্ধা সুরুজ মিয়া গং আমাদের বাঁশের পুতে রাখা খুটিতে ২৩/০১/২৪ ইং রাতের অন্ধকারে টিনের বেড়া ও ঘরের চালে টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর তৈরী করে নেয়। সে খুব অসৎ প্রকৃতির, পরের সম্পদ আত্নসাৎকারী লোক। রাম তারুয়া রবি দাস ও আমাদের উত্তরাধিকারীরা দীর্ঘদিন জীবিকার সন্ধানে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে থেকে মৃত্যুবরণ করায় নামজারি করানো সম্ভব হয় নাই। কিন্তু ভোগ দখলে কোন জটিলতা হয়নি। ২০২২ সালে নামজারী করানোর জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খোঁজ নিলে জানা যায় ২১ শতক ভূমি মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক এর নামে আর এস ৪১ দাগে রেকর্ড হয়েছে। বিষযটি অবগত হওয়ার পর ১১/০৫/২২ ইং লক্ষী রানী রবি দাসসহ অন্যান্য ওযারিশান বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত শ্রীমঙ্গল বরাবরে জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজারকে বিবাদী করে মামলা দেওয়া হয়। মামলা নং ৯০/২২ ইং। গত ০৬/০২/২৩ ইং বিজ্ঞ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মনু মিয়ার পুত্র সুরুজ মিয়া গং আমাদের তৈরি বাঁশের খটির ঘরে প্রবেশ করে।