ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কর্মস্থল ত্যাগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: আব্দুর রশীদ মিয়া ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল বোয়ালখালী শাকপুরা প্রবর্ত্তক পাইলট কন্যা বিদ্যাপীঠের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন পেয়ার মোহাম্মদ কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মণিপুরী ললিতকলায় ৭ দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতা ছুরিকাঘাতে জখম শিবগঞ্জে ২ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা, দেড় লাখ টাকা অর্থদন্ড নীলফামারীতে ১৫ মার্চ ৩ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বাংলাদেশে খুনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কখনো ফিরে আসার সুযোগ নেই: আমানউল্লাহ আমান শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পাঁচ সফল প্রতিবন্ধী নারীকে সম্মাননা প্রদান রাজশাহীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার রায়পুরে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ৬

কলরেট ও ইন্টারনেটের ওপর বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

মোবাইল কলরেট এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গ্রাহক, মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিবাদের মুখে এনবিআর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এনবিআরের একটি সূত্র কালবেলাকে জানিয়েছে, মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবার ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে কয়েক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা জারি করা হবে।

এর আগে ৯ জানুয়ারি মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে মোবাইল সেবার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়। পাশাপাশি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তটি দেশব্যাপী সমালোচিত হয়েছিল এবং এতে নাগরিক জীবনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের জন্য উপকারি হবে। আমরা শুল্ক আরোপের পর থেকে এটির প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলাম, কারণ এটি গ্রাহকদের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলত।”

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এনবিআরের সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “এখন ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভ্যাট আরও কমানো দরকার এবং সেবা প্রদানের গতি ও মান আরও উন্নত করতে হবে।”

এ সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশে মোবাইল এবং ইন্টারনেট সেবার ব্যয় কমবে এবং সাধারণ মানুষের সুবিধা বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি সেবার মান উন্নত করার প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যাবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কর্মস্থল ত্যাগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: আব্দুর রশীদ মিয়া

Verified by MonsterInsights

কলরেট ও ইন্টারনেটের ওপর বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় ০৭:২০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

মোবাইল কলরেট এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গ্রাহক, মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিবাদের মুখে এনবিআর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এনবিআরের একটি সূত্র কালবেলাকে জানিয়েছে, মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবার ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে কয়েক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা জারি করা হবে।

এর আগে ৯ জানুয়ারি মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে মোবাইল সেবার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়। পাশাপাশি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তটি দেশব্যাপী সমালোচিত হয়েছিল এবং এতে নাগরিক জীবনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের জন্য উপকারি হবে। আমরা শুল্ক আরোপের পর থেকে এটির প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলাম, কারণ এটি গ্রাহকদের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলত।”

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এনবিআরের সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “এখন ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভ্যাট আরও কমানো দরকার এবং সেবা প্রদানের গতি ও মান আরও উন্নত করতে হবে।”

এ সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশে মোবাইল এবং ইন্টারনেট সেবার ব্যয় কমবে এবং সাধারণ মানুষের সুবিধা বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি সেবার মান উন্নত করার প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যাবে।