রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা, যা এবারের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে আসছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান : নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে এর উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ বছর বইমেলায় ৭০৮টি প্রকাশক অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ৯৯টি স্টল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং ৬০৯টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপন করা হবে। গত বছরের তুলনায় এবারের মেলায় বেশি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে ৩৭টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। এর মধ্যে একটি থাকবে বাংলা একাডেমিতে এবং ৩৬টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
বিশেষভাবে, লিটল ম্যাগাজিন কর্নারটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে গাছের নীচে থাকবে, যেখানে প্রায় ১৩০টি স্টল থাকবে। মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাঙ্গা রাখতে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবেন এবং তিন শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সারা মেলা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এ বছরের বইমেলা পরিবেশবান্ধব এবং শূন্য-বর্জ্য হওয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। আয়োজকরা অংশগ্রহণকারী সকলকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাট, কাপড় ও কাগজের মতো টেকসই উপকরণ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করছেন।
বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এবং প্রতি কর্মদিবসে মেলা বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সরকারি ছুটির দিনে মেলা দুপুর ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চালু থাকবে।
এছাড়া শিশু-কিশোরদের জন্য বিশেষ ‘শিশু প্রহর’ পরিচালিত হবে, যেখানে শিল্পাচার্য, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
বইমেলা উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম।
এছাড়া এবারের বইমেলায় গুণগত মানসম্পন্ন প্রকাশনার জন্য চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, শৈল্পিক উৎকর্ষতায় মুনির চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, শিশু সাহিত্যে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার এবং নান্দনিক স্টল ডিজাইনের জন্য কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হবে।