সরকারি সাত কলেজ নিয়ে নতুন একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষার্থীদের স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। তাই, এই কলেজগুলোকে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ড. মাহমুদ আরও বলেন, একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সময়ের প্রয়োজন। এটি কোনো প্রক্রিয়া নয় যা তাড়াহুড়া করে তিন দিনের মধ্যে শেষ করা সম্ভব, কারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাঠামো ও মডেল তৈরির প্রক্রিয়া অনেক জটিল। তিনি স্পষ্ট করেন যে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সব দিক থেকে পরিকল্পনা প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত হলে সেখানে শিক্ষকদের নিয়োগ, আইনগত বিষয়সমূহ এবং সনদের জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অনুমোদন প্রাপ্তি প্রয়োজন। এসব বিষয় শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আগামী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হবে বলে জানানো হয়, এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করবে।
এর আগে ২৬ জানুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যখন তারা তাদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে উক্ত প্রো-ভিসি দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এদিকে, ২৭ জানুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাত কলেজকে ঢাবির অধিভুক্ত রাখা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবং ২০২৪-২৫ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।