ভারতে ৯ মাস জেল খেটে ৬ জন পুরুষ ও একজন নারী বেনাপোল দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে দেশে এসেছে।
ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টার সময় হস্তান্তর করেন। এ সময় শার্শার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন।
ফেরত আসারা হলেন, নারানগঞ্জ জেলার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে রহমত উল্লাহ (৪৫), পটুয়াখালী জেলার আব্দুল মানিক এর ছেলে গোলাম রাফি (৩৪), মান্নান এর ছেলে জামাল হোসেন (৫৬), আব্দুল জলিল এর ছেলে মাসুম বিল্লাহ (৩৯), নাজির হোসাইন এর ছেলে হুসাইন (৩৮), আব্দুর রহমান এর ছেলে ইয়াসিন (৩১) এবং দিনাজপুর জেলার শফিউদ্দিন কাজীর মেয়ে রাশিদা বেগম (৩৪)।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশী ৬জন জেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয় কোষ্ট গার্ডের কাছে গত ৯ মাস আগে আটক হয়। আর ১ জন নারী অবৈধপথে ভারত গিয়ে ও ওই সময় আটক হয়ে এরা সকলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আলীপুর জেল খানায় থাকে। পরে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে এরা বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে দেশে ফেরত আসে। ফেরত আসাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি মো. রাসেল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফেরত আসাদের থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেসরকারী একটি এনজিওর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সমন্বয়কারী রেখা বিশ্বাস বলেন, এরা সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সীমানা অতিক্রম করে ভারতের অংশে ঢুকে পড়ে গত ৯ মাস আগে। আর সেই সময় ভারতীয় কোষ্ট গার্ডরা তাদের আটক করে নিয়ে গিয়ে আদালতে সপোর্দ করে। আদালত তাদের আলীপুর জেল খানায় পাঠায়। একই সময় অবৈধ পথে পাসপোর্ট ভিসা বাদে ভারতে প্রবেশ করার জন্য রাশিদা বেগমকে আটক করে একই কারাগারে পাঠায় সেদেশের পুলিশ। এদের জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি আইনি সহায়তা দিয়ে দেশে ফেরত এনেছে। এদের যশোর নিয়ে তাদের পরিবারকে সংবাদ দিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।