গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯৮ জন। এই হামলার ফলে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৪৩৬ জনে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছেন।
এদিকে, গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে উঠেছে। হামলায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পাথরের নিচে আটকে আছেন, যাদের উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই। আহতের সংখ্যা এক লাখ আট হাজার ৩৮ জন পৌঁছেছে।
ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজায় অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে, যা মিশরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান। এসব ধ্বংসস্তূপ সরাতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে এবং ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে।
ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে তৈরি হওয়া ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে।
গাজাভিত্তিক জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজার অবকাঠামোগত ক্ষতি ‘পাগলামির’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি আরও বলেন, “এ অঞ্চলের ভৌগোলিক চিত্র এখন পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে গেছে, দুই হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো এই অঞ্চলের মানচিত্র বদলে দিয়েছে।”
ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের অবরোধের আওতায় রয়েছে, এবং গত এক বছর ধরে অব্যাহত হামলা এবং ধ্বংসের ফলে এখানে মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।