ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো রাস্তার পাশে পড়েছিল শিশুর মাথা থেঁতলানো লাশ নিখোঁজের একদিন পর রেললাইনের পাশ থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার, স্ত্রী ও স্বজনদের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা মির্জাপুর জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত, স্ত্রী ও ছেলে আহত জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার লালপুরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৪ নারীসহ আহত ১০, আশঙ্কাজনক ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার বগুড়ায় করতোয়া নদীর ধারে মুখ ঝলসানো অর্ধগলিত লাশ পিরিজপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি: অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ছেলে লালপুরে আইনজীবীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৩জন আহত বগুড়ায় ‘লাশ উত্তোলনের নামে’ প্রতারণা, তিন ভাই গ্রেপ্তার সিংড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা

ক্ষতি পোষাতে ছুটির দিনেও খোলা অনেক পোশাক কারখানা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৫৭২ বার পড়া হয়েছে

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে খোলা রয়েছে দেড় শতাধিক পোশাক কারখানা। ছবি: সংগৃহীত।

জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও কারফিউ, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং প্রধান প্রধান শিল্পাঞ্চলে সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে গত তিন মাস ধরে চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে পোশাক শিল্পের উৎপাদন। অর্ডার হারিয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করেছেন পোশাক রপ্তানিকারকরা।

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে খোলা রয়েছে দেড় শতাধিক পোশাক কারখানা।

এ অবস্থায় কারখানা ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে শিল্প পুলিশ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জুলাই-আগস্টের অস্থিতিশীল অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসবে আশা করা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন পোশাক শ্রমিকরা। সম্প্রতি মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেশ কিছু দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকে।

ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন, যথাসময়ে পণ্য রপ্তানির চাপ বাড়ছে। তাই উৎপাদন বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই ছুটির দিনেও কারখানা খোলা রাখা হয়েছে। এদিকে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলেও খোলা আছে বেশ কিছু কারখানা।

হাজিরা বোনাস বাড়ানোসহ শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি পূরণের যৌথ ঘোষণা পর উৎপাদনে ফিরেছে সিংহভাগ কারখানা। তবে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, পর্যালোচনায় থাকা ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং ১৫ ভাগ ইনক্রিমেন্টের দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে গতকাল বৃহস্পতিবার দুটি কারখানায় অসন্তোষ ছিল।

বিজিএমইএয়ের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সবচেয়ে শ্রমিকঘন শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় এক হাজার ৮৬৩টি কারখানায় কাজ করেন ৯ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক। স্বাভাবিক কারণেই এই শিল্পাঞ্চলের দিকে সবার দৃষ্টি থাকে। দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ায় এখন সবাই একযোগে দেশের উন্নয়নে কাজ করবেন।

শ্রমিক আন্দোলনসহ নানা কারণে শিল্পাঞ্চলে আটটি কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে। কাজ নেই মজুরিও নেই ভিত্তিতে এসব কারখানার শ্রমিকরা কোনো বেতন ভাতা পাবেন না। এ ছাড়াও সাধারণ ছুটি ঘোষণায় রয়েছে ৯টি তৈরি পোশাক কারখানা। এই ১৭টি শিল্প কারখানা নিয়ে শিল্পাঞ্চলে বন্ধ রয়েছে ১৮৬টি কারখানা। এসব কারখানার সিংহভাগ দীর্ঘদিন ধরে নানা কারণে বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা।

শিল্পাঞ্চল ঘিরে রয়েছে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে পুলিশ, আর্মড পুলিশ, শিল্প পুলিশ, র‍্যাব বিজিবি ও সেনা সদস্যদের তৎপরতা। বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা নিয়ে মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো

Verified by MonsterInsights

ক্ষতি পোষাতে ছুটির দিনেও খোলা অনেক পোশাক কারখানা

আপডেট সময় ০৫:২৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও কারফিউ, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং প্রধান প্রধান শিল্পাঞ্চলে সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে গত তিন মাস ধরে চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে পোশাক শিল্পের উৎপাদন। অর্ডার হারিয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করেছেন পোশাক রপ্তানিকারকরা।

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে খোলা রয়েছে দেড় শতাধিক পোশাক কারখানা।

এ অবস্থায় কারখানা ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে শিল্প পুলিশ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জুলাই-আগস্টের অস্থিতিশীল অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসবে আশা করা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন পোশাক শ্রমিকরা। সম্প্রতি মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেশ কিছু দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকে।

ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন, যথাসময়ে পণ্য রপ্তানির চাপ বাড়ছে। তাই উৎপাদন বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই ছুটির দিনেও কারখানা খোলা রাখা হয়েছে। এদিকে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলেও খোলা আছে বেশ কিছু কারখানা।

হাজিরা বোনাস বাড়ানোসহ শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি পূরণের যৌথ ঘোষণা পর উৎপাদনে ফিরেছে সিংহভাগ কারখানা। তবে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, পর্যালোচনায় থাকা ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং ১৫ ভাগ ইনক্রিমেন্টের দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে গতকাল বৃহস্পতিবার দুটি কারখানায় অসন্তোষ ছিল।

বিজিএমইএয়ের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সবচেয়ে শ্রমিকঘন শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় এক হাজার ৮৬৩টি কারখানায় কাজ করেন ৯ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক। স্বাভাবিক কারণেই এই শিল্পাঞ্চলের দিকে সবার দৃষ্টি থাকে। দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ায় এখন সবাই একযোগে দেশের উন্নয়নে কাজ করবেন।

শ্রমিক আন্দোলনসহ নানা কারণে শিল্পাঞ্চলে আটটি কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে। কাজ নেই মজুরিও নেই ভিত্তিতে এসব কারখানার শ্রমিকরা কোনো বেতন ভাতা পাবেন না। এ ছাড়াও সাধারণ ছুটি ঘোষণায় রয়েছে ৯টি তৈরি পোশাক কারখানা। এই ১৭টি শিল্প কারখানা নিয়ে শিল্পাঞ্চলে বন্ধ রয়েছে ১৮৬টি কারখানা। এসব কারখানার সিংহভাগ দীর্ঘদিন ধরে নানা কারণে বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা।

শিল্পাঞ্চল ঘিরে রয়েছে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে পুলিশ, আর্মড পুলিশ, শিল্প পুলিশ, র‍্যাব বিজিবি ও সেনা সদস্যদের তৎপরতা। বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা নিয়ে মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।