চার বছর আগে লাদাখ সীমান্তে প্রাণঘাতী সংঘাতের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রথম মুখোমুখি হয়ে বৈঠক করেছেন। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মোদি এবং শি উভয়ই এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংলাপ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে, লাদাখ থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সমঝোতা হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার মূল কারণ হলো ৩,৪৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত না থাকা। এতে প্রায়ই দুই দেশের সেনারা মুখোমুখি হয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে, যা চীন-ভারত সম্পর্ককে জটিল করেছে। ১৯৬২ সালে শুরু হওয়া চীন-ভারত যুদ্ধের পর তিব্বত এবং ভারতের কিছু এলাকা নিয়ে চীনের দাবি এই বিরোধকে আরও তীব্র করে তোলে।
২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় দু’পক্ষের সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় এবং ৪ চীনা সেনা নিহত হয়েছিলেন। এর পর থেকে সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও পরিস্থিতি উত্তেজনাকর ছিল।
বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর জানান যে, পূর্ব লাদাখের টহলস্থল নিয়ে চীনের সঙ্গে কিছু সমঝোতা হয়েছে এবং সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করা হয়নি, তবে চীনা মুখপাত্র লিন জিয়ান বিরোধ মেটাতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।