সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতা হত্যার অভিযোগে একাধিক মামলায় অভিযুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তিনি ৫ ও ৬ আগস্ট ঢাকায় ছিলেন এবং ৭ আগস্ট নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তার বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
২০১৮ সালের আন্দোলনের তুঙ্গে উঠার পর একটি ভিডিও প্রকাশিত হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। এরপর ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনাসহ, আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতারা বিদেশে পালিয়ে যান। পলাতক আসাদুজ্জামান খান কামালও ওই তালিকায় ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি ১০ বছর ৬ মাস বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলাম এবং সেই সময়ে আমি অনেক ঘটনা দেখেছি। তবে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল, যা ঘটনার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। আমি স্বীকার করি যে এটি একটি সামরিক অভ্যুত্থান ছিল।”
তিনি আরও জানান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহায়তা সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত কূটনৈতিক উপায়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন।
আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে যে, তার নির্দেশে পুলিশ বাহিনী আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর গুলি ছোড়ে এবং ওই ঘটনাগুলোতে তার সরাসরি ভূমিকা ছিল। এছাড়া, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গত বছর তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছিল।
আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম চলমান থাকলেও তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো জবাব দেননি।