ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক এ বছর হচ্ছে না সংস্কার প্রশ্নে পিছপা হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা গণকবরে ১০০ নারী ও শিশুর লাশের সন্ধান দেশের জনগণ ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ চায়: অধ্যাপক আলী রীয়াজ ড. মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ভূমি সেবার অনলাইন সার্ভার বন্ধ, বিপাকে সেবাপ্রত্যাশীরা ‘আশিকি ৩’ সিনেমায় কার্তিক আরিয়ানের বিপরীতে তৃপ্তি দীমরি সালমান খানের ৫৯তম জন্মদিনে বড় ধামাকা ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর হওয়া উচিত: প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের কাছে প্রদেশ হারাচ্ছে জান্তা সরকার কোনো মানুষের যেন শীতে কষ্ট ভোগ করতে না হয়: মহসিন মিয়া মধু গোপালপুরে জাসাসের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

নকল পণ্য দমাতে আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর দাবি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বাজারে নকল ও ভেজাল পণ্যের প্রভাব এবং এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে গতকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক সেমিনারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

সেমিনারে জানানো হয়, দেশের বাজারে সস, ভিনেগার, আইসিং সুগার, চকলেট সিরাপ, বেবিফুডসহ ১৭-২০ ধরনের আমদানিকৃত পণ্য নকল ও ভেজাল হচ্ছে বেশি। এর ফলে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পাশাপাশি সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ইআরএফ এবং বাংলাদেশ ফুডস্টাফ ইমপোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফিসা) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করেছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরএপি) মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে এমন কিছু পণ্য রয়েছে, যেগুলি দেশে উৎপাদন হয় না, কিন্তু বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তারা এটাও জানান যে, বিভিন্ন ধরনের বিদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে এসব পণ্যের মূল্য অত্যাধিক বেড়ে যায় এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নকল পণ্য বাজারে ছেড়ে দেন। এতে সরকার বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

বক্তারা আরও বলেন, দেশে উৎপাদিত না হওয়া পণ্যগুলোর উপর শুল্ক কমিয়ে আমদানি করার সুযোগ প্রদান করা প্রয়োজন। এতে যেমন সরকারের রাজস্ব বাড়বে, তেমনি ভেজাল পণ্যের উৎপাদনও কমবে। বাজারের শৃঙ্খলা ফেরাতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা এবং বাজার তদারকি ও মনিটরিং ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে।

ডিএনসিআরএপি মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, নকল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া, জনগণের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও শিক্ষার মান বাড়ানোও গুরুত্বপূর্ণ।

বাফিসার সভাপতি মোহাম্মদ বোরহান ই সুলতান বলেন, দেশে মানসম্পন্ন শিল্প গড়ে উঠছে না এবং অধিক শুল্কের কারণে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। বাজারে যদি চাহিদার সঙ্গে সাপেক্ষে পণ্য না আসে, তবে নকল পণ্যের উৎপাদন বেড়ে যাবে।

অন্যদিকে, বিএফএসএ’র সদস্য মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, গত বছর তারা বাজার থেকে এক হাজার ৩৮১টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব টেস্ট করিয়েছিলেন, যার মধ্যে ২০ শতাংশ পণ্যই মানহীন পাওয়া গেছে।

এই সেমিনারের মাধ্যমে বাজারে ভেজাল ও নকল পণ্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে, যাতে জনগণের স্বাস্থ্যের ক্ষতি রোধ করা যায় এবং সরকার রাজস্বের ক্ষেত্রে লাভবান হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নকল পণ্য দমাতে আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর দাবি

আপডেট সময় ১১:৫৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের বাজারে নকল ও ভেজাল পণ্যের প্রভাব এবং এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে গতকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক সেমিনারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

সেমিনারে জানানো হয়, দেশের বাজারে সস, ভিনেগার, আইসিং সুগার, চকলেট সিরাপ, বেবিফুডসহ ১৭-২০ ধরনের আমদানিকৃত পণ্য নকল ও ভেজাল হচ্ছে বেশি। এর ফলে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পাশাপাশি সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ইআরএফ এবং বাংলাদেশ ফুডস্টাফ ইমপোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফিসা) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করেছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরএপি) মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে এমন কিছু পণ্য রয়েছে, যেগুলি দেশে উৎপাদন হয় না, কিন্তু বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তারা এটাও জানান যে, বিভিন্ন ধরনের বিদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে এসব পণ্যের মূল্য অত্যাধিক বেড়ে যায় এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নকল পণ্য বাজারে ছেড়ে দেন। এতে সরকার বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

বক্তারা আরও বলেন, দেশে উৎপাদিত না হওয়া পণ্যগুলোর উপর শুল্ক কমিয়ে আমদানি করার সুযোগ প্রদান করা প্রয়োজন। এতে যেমন সরকারের রাজস্ব বাড়বে, তেমনি ভেজাল পণ্যের উৎপাদনও কমবে। বাজারের শৃঙ্খলা ফেরাতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা এবং বাজার তদারকি ও মনিটরিং ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে।

ডিএনসিআরএপি মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, নকল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া, জনগণের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও শিক্ষার মান বাড়ানোও গুরুত্বপূর্ণ।

বাফিসার সভাপতি মোহাম্মদ বোরহান ই সুলতান বলেন, দেশে মানসম্পন্ন শিল্প গড়ে উঠছে না এবং অধিক শুল্কের কারণে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। বাজারে যদি চাহিদার সঙ্গে সাপেক্ষে পণ্য না আসে, তবে নকল পণ্যের উৎপাদন বেড়ে যাবে।

অন্যদিকে, বিএফএসএ’র সদস্য মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, গত বছর তারা বাজার থেকে এক হাজার ৩৮১টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব টেস্ট করিয়েছিলেন, যার মধ্যে ২০ শতাংশ পণ্যই মানহীন পাওয়া গেছে।

এই সেমিনারের মাধ্যমে বাজারে ভেজাল ও নকল পণ্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে, যাতে জনগণের স্বাস্থ্যের ক্ষতি রোধ করা যায় এবং সরকার রাজস্বের ক্ষেত্রে লাভবান হয়।