বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) থেকে দায় পরিশোধের পরেও অর্জিত হয়েছে। তবে, চলতি ডিসেম্বর মাসে বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ পেলে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বর্তমানে ১৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে তা ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে। প্রথমটি হলো বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিলসহ মোট রিজার্ভ, যার মধ্যে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণসহ কিছু তহবিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দ্বিতীয়টি হলো আইএমএফ এর হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ, যেখানে কিছু ঋণ এবং তহবিল বাদ দেয়া হয়েছে।
গত ১১ নভেম্বর আকু’র মাধ্যমে আমদানি পণ্যের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিল বাবদ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পর রিজার্ভ কমে ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। তবে, এক মাসের মধ্যে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় আবারও বাড়ে এবং রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংক থেকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ যুক্ত হলে, এই মাসেই রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে জানান। তিনি আরও বলেন, “রিজার্ভ একটি চলমান বিষয়, কখনো কমে, কখনো বাড়ে। তবে, বর্তমানে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ইতিবাচক এবং রপ্তানি আয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই শিগগিরই রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারবে।”