বাংলাদেশকে চলমান ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রকল্পের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড়ের জন্য আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) নতুন শর্ত জুড়েছে। তবে এই ঋণ ছাড়ের জন্য কিছু নতুন সংস্কারের প্রস্তাবসহ আইএমএফ অতিরিক্ত ৬ মাস সময় চেয়েছে।
আইএমএফের মিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে, তারা চলমান ঋণ কর্মসূচির পরবর্তী ধাপের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন ঋণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু আইএমএফ সেসময় তাতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি।
এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, গত ৫ আগস্ট সরকারের বদলের পর অর্থ উপদেষ্টা আইএমএফের কাছে ৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন ঋণ প্রস্তাব করেন। কিন্তু আলোচনার পর আইএমএফ বর্তমান ঋণ শর্ত অনুযায়ী ১ বিলিয়ন ডলারের নতুন ঋণ ছাড়ার প্রস্তাব দেয়, যেখানে সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কারের চূড়ান্ত প্রস্তাবের ভিত্তিতে ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর শর্ত দেওয়া হয়।
আইএমএফ এর মিশন চলতি ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। এ সময় বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সংস্কারমূলক সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতির পলিসি ডকুমেন্টস এবং রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য সরকারের পরিকল্পনা আইএমএফের কাছে জানানো হয়েছে।
আইএমএফের মিশন নতুন ঋণ ছাড়ের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করতে যাচ্ছে, যার মধ্যে রাজস্ব আদায় বাড়ানো, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সার খাতে ভর্তুকি কমানো, ব্যাংকিং খাতের সুশাসন বাড়ানো এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ভ্যাট কাঠামো সংস্কারের শর্ত রয়েছে।