ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ঢাকা ওয়াসায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ: ডিএমডি (অর্থ ও প্রশাসন) আকতারুজ্জামানকে বের করে দিয়েছে কর্মচারীরা মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যানী পূজা মিঠাপুকুরে জোরপূর্বক কৃষকের জমির ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন: জনমনে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা শ্রীমঙ্গলে সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক- ৬ যশোরে টেন্ডার নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার ওজন নিয়ে সমালোচনার জবাবে সোজাসাপটা জবাব দিলেন সামান্থা সংসার করতে চান বাঁধন, একান্ত সঙ্গীর খোঁজে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিলেন বাইডেন ঝিনাইদহের সাবেক এমপি তাহজীব সিদ্দিকী গ্রেপ্তার বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

পাঁচ বছর পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-শি, সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনার অগ্রাধিকার

পাঁচ বছর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। বৈঠকে সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মোদি, অন্যদিকে শি জিনপিং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত ও চীনের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেন।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের লাদাখ সীমান্ত সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে, যা গতকাল মোদি-শির বৈঠকের মাধ্যমে নতুন মোড় নিলো।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, মোদি বৈঠকে সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রাধিকারকে গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা উভয় দেশের সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, শি জিনপিং বৈঠকে উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত ও চীনের উভয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থে পালন করা জরুরি।

২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তাক্ত সংঘর্ষে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরপর থেকে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ের আলোচনা চলতে থাকলেও সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি। তবে সাম্প্রতিক এক সমঝোতায় সীমান্তে ২০২০ সালের মে মাসের পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়, যা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নতির পথে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠকে বলেন, “আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হওয়া উচিত পারস্পরিক আস্থা, মর্যাদা এবং সংবেদনশীলতা।” অন্যদিকে, শি জিনপিং বলেন, “ভারত ও চীন উভয়ই পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতা এবং উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধি। আমাদের দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও আমরা তা সঠিকভাবে সামলে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।”

দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বৈঠকের মাধ্যমে সীমান্তে উত্তেজনা কমিয়ে আনা এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও উভয় নেতা একমত হয়েছেন।

শি জিনপিং আরও বলেন, চীন ও ভারত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিকতা ও গণতন্ত্রের প্রসারে ভূমিকা রাখতে পারে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর শক্তি ও ঐক্য বিকশিত করতে তাদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা ওয়াসায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ: ডিএমডি (অর্থ ও প্রশাসন) আকতারুজ্জামানকে বের করে দিয়েছে কর্মচারীরা

পাঁচ বছর পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-শি, সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনার অগ্রাধিকার

আপডেট সময় ০১:০১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

পাঁচ বছর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। বৈঠকে সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মোদি, অন্যদিকে শি জিনপিং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত ও চীনের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেন।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের লাদাখ সীমান্ত সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে, যা গতকাল মোদি-শির বৈঠকের মাধ্যমে নতুন মোড় নিলো।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, মোদি বৈঠকে সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রাধিকারকে গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা উভয় দেশের সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, শি জিনপিং বৈঠকে উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত ও চীনের উভয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থে পালন করা জরুরি।

২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তাক্ত সংঘর্ষে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরপর থেকে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ের আলোচনা চলতে থাকলেও সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি। তবে সাম্প্রতিক এক সমঝোতায় সীমান্তে ২০২০ সালের মে মাসের পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়, যা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নতির পথে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠকে বলেন, “আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হওয়া উচিত পারস্পরিক আস্থা, মর্যাদা এবং সংবেদনশীলতা।” অন্যদিকে, শি জিনপিং বলেন, “ভারত ও চীন উভয়ই পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতা এবং উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধি। আমাদের দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও আমরা তা সঠিকভাবে সামলে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।”

দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বৈঠকের মাধ্যমে সীমান্তে উত্তেজনা কমিয়ে আনা এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও উভয় নেতা একমত হয়েছেন।

শি জিনপিং আরও বলেন, চীন ও ভারত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিকতা ও গণতন্ত্রের প্রসারে ভূমিকা রাখতে পারে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর শক্তি ও ঐক্য বিকশিত করতে তাদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।