ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা এবং ইরানে মিসাইল হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, ইসরায়েল কোনো আক্রমণ করলে তা শক্তিশালী প্রতিশোধের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে।
ইসরায়েল ইরানের খার্গ দ্বীপের জ্বালানি তেলের স্থাপনাগুলোতে হামলা করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। ইসরায়েলের সম্ভাব্য পাল্টা আক্রমণের বিষয়ে ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছেন। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তেল শোধনাগার ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ইরান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যেকোনো ইসরায়েলি আক্রমণের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংঘাত যেকোনো সময় পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধের দিকে মোড় নিতে পারে। ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণগুলোর সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হতে পারে ইরানের তেল ও গ্যাস স্থাপনাগুলো, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বড় আকারে প্রচার পাবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে মিসাইল প্রতিরক্ষাব্যবস্থা (থাড) প্রদান করেছে, যা ইরান ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেছে।