বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার মূল্য এবং মান নির্ধারণে গণশুনানির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটি শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-কে এই বিষয়ে আবেদন জানাতে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার সঙ্গে বাংলাদেশের বাজারে ব্যবসা করার জন্য বিটিআরসিতে আবেদন জমা দিয়েছে এবং সরকারের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। খুব সম্ভবত আগামী মাসেই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বাংলাদেশে শুরু হতে পারে। তবে এই সেবার ধরন, গ্রাহকের খরচ, ব্যবহারের সীমা, স্পিড, সিগন্যাল ট্রান্সমিশন, ল্যাটেনসি এবং বিশেষ করে প্যাকেজের মূল্য ও মেয়াদ সম্পর্কে জনগণের কাছে এখনো স্পষ্ট ধারণা নেই।”
এছাড়া, বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “একটি জবাবদিহিমূলক সেবার মান ও মূল্য নির্ধারণের জন্য সেবাটি চালু হওয়ার আগেই গণশুনানি আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”
স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের মূল্য সম্পর্কে প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভুটান ইতিমধ্যে সেবাটির মূল্য নির্ধারণ করেছে। ভুটানের ‘রেসিডেনসিয়াল লাইট’ প্যাকেজের মাসিক খরচ ৩ হাজার গুলট্রাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪,২০০ টাকা), যেখানে ইন্টারনেটের গতি ২৩ এমবিপিএস থেকে ১০০ এমবিপিএস পর্যন্ত। স্ট্যান্ডার্ড রেসিডেনসিয়াল প্যাকেজের জন্য মাসিক খরচ ৪ হাজার ২০০ গুলট্রাম (প্রায় ৫,৮০০ টাকা)।
তবে, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন মনে করছে, ভুটানের নির্ধারিত মূল্য বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের জন্য অনেক বেশি হতে পারে, কারণ দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং করহার ভিন্ন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “বাংলাদেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশের মূল্য অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু দেশের আর্থিক সক্ষমতা এবং করনীতি আলাদা, সুতরাং জনগণের মতামত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এছাড়া, সংগঠনটি জানিয়েছে, বিটিআরসিতে গণশুনানি আয়োজনের আবেদন দু-এক দিনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে।