প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, যতক্ষণ আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালের জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণহত্যা এবং তাদের কৃতকর্মের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা না চায়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোনো বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) পোস্টে তিনি জানান, আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ করার সুযোগ দেওয়া উচিত কি না, এই প্রশ্ন তুলে তিনি ২০১৮ সালের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের কর্মীদের শাসনের অধীনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হত্যার কথা উল্লেখ করেন।
শফিকুল আলম বলেন, “গত সাড়ে পাঁচ মাসে ঢাকায় ১৩৬টি বিক্ষোভ হয়েছে, তবে সরকার কখনো কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।” তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, বিক্ষোভ ও সমাবেশের স্বাধীনতা থাকতে হবে, তবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতা হারিয়ে এসব কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা না চায়, তবে তাদেরকে বিক্ষোভ করার সুযোগ দেওয়া যাবে না।”
তিনি তার পোস্টে আরো দাবি করেন, “২০১৮ সালের জুলাই-আগস্টের গণহত্যা এবং নিরীহ মানুষের উপর হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করা হয়।” শফিকুল আলম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টের কথা তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার একনায়কতন্ত্রের শাসনকালে সরাসরি হত্যাকাণ্ড এবং জোরপূর্বক গুমের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ গুম বা বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা হয়েছেন।
শফিকুল আলম আরও বলেন, “যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ তাদের এসব কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চায়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোনো বিক্ষোভ করতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দেবে।”