ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনা রেলওয়ে সেতুতে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএআইডি মহাপরিদর্শক পল মার্টিন বরখাস্ত শেখ হাসিনার বক্তব্য ভারতের জন্য জটিলতা সৃষ্টি করেছে: শশী থারুর বিনামূল্যে ক্যান্সার ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আগামী অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যা মামলার রায়: আসিফ নজরুল পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী পরিচালক বদরুন্নাহার সীমার সীমাহীন দুর্নীতি পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প: পিডি উজ্জ্বল মল্লিক ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে শত শত কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্লট হাতিয়ে নিয়েছে ময়মনসিংহে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে নির্বাচিত সভাপতি সম্পাদকসহ সকলের শপদ ও দায়িত্ব গ্রহণ গাজীপুর কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, তদন্ত কমিটি গঠন ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখার ওপর যশোরে বিএনপির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি)। ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর ডাকনাম ছিল ‘কমল’। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন।

জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী। তিনি একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দেশের জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধেও অসীম সাহসিকতার সাথে তিনি যুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ১ নং সেক্টরে (চট্টগ্রাম, পাবত্য চট্টগ্রাম, ও ফেনি নদীর পূর্বাংশ) এবং জেট ফোর্সের প্রধান হিসাবে যুদ্ধ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর সিপাহী-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন। তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ও দিকনির্দেশনা আজও প্রাসঙ্গিক এবং বিএনপির শক্তিশালী নেতৃত্বের মাধ্যমে তার গড়া রাজনৈতিক দল বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহত্তম দল হিসেবে পরিচিত। ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শাহাদতবরণ করেন এবং তার স্মৃতি আজও জাতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত সম্মানিত।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শহীদ জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, “জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শন আমাদের জাতিসত্ত্বার সঠিক পরিচয় দিয়েছে। তিনি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, মানবিক সাম্য, ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।”

কর্মসূচি:
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এক দিনের বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

  • সকাল ৮টা: দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন।
  • বেলা ১১টা: রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়ার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ।
  • দুপুর ২টা: রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা।
  • এছাড়া, পোস্টার প্রকাশ, পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিভিন্ন জেলায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনও শীতবস্ত্র বিতরণ করবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

Verified by MonsterInsights

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ

আপডেট সময় ০৩:৪৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি)। ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর ডাকনাম ছিল ‘কমল’। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন।

জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী। তিনি একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দেশের জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধেও অসীম সাহসিকতার সাথে তিনি যুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ১ নং সেক্টরে (চট্টগ্রাম, পাবত্য চট্টগ্রাম, ও ফেনি নদীর পূর্বাংশ) এবং জেট ফোর্সের প্রধান হিসাবে যুদ্ধ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর সিপাহী-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন। তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ও দিকনির্দেশনা আজও প্রাসঙ্গিক এবং বিএনপির শক্তিশালী নেতৃত্বের মাধ্যমে তার গড়া রাজনৈতিক দল বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহত্তম দল হিসেবে পরিচিত। ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শাহাদতবরণ করেন এবং তার স্মৃতি আজও জাতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত সম্মানিত।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শহীদ জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, “জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শন আমাদের জাতিসত্ত্বার সঠিক পরিচয় দিয়েছে। তিনি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, মানবিক সাম্য, ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।”

কর্মসূচি:
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এক দিনের বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

  • সকাল ৮টা: দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন।
  • বেলা ১১টা: রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়ার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ।
  • দুপুর ২টা: রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা।
  • এছাড়া, পোস্টার প্রকাশ, পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিভিন্ন জেলায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনও শীতবস্ত্র বিতরণ করবে।