কুমিল্লা জেলা এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল মতিন বলেন, “জনগণের জন্য গ্রাম, বাজার, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এলজিইডি বিভিন্ন উন্নয়ন কর্ম বাস্তবায়ন করে করে থাকে। কৃষি, পানি সম্পদ, পল্লী, নগর উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলায় সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস এবং কৃষি ও অকৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সুবিধা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।”
এলজিইডি গ্রামীণ অবকাঠামোর পাশাপাশি নগর উন্নয়নে দেশের ঐতিহ্যের স্মারক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এর সঙ্গে মিশে রয়েছে এলজিইডিতে কর্মরত প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মেধা, শ্রম ও আন্তরিকতা। এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হলেও একজন নাগরিক হিসেবে সরকারি কাজের পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সার্বক্ষণিক প্রয়াস চালাবেন বলে প্রত্যাশা করেন।”
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, “স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এবং প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশ ও পরামর্শে দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার তাগিদ দিয়েছি।”
তিনি জানান, “বর্তমানে এডিবির প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান। ৫ আগস্টের পরে কাজের গতি কিছুটা মন্থর ছিল। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন ঠিকাদারদের সাথে যোগাযোগ করে এলাকার জনগণ এবং বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ আলোচনার মাধ্যমে কাজগুলো চলমান রেখেছি। কাজের অগ্রগতি বাড়ানোর জন্য টেকসই ও গুণগত মান রক্ষায় তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন ট্রেনিং দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে।”
কুমিল্লা এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফ জামিল জানান, “আমরা সরেজমিনে বিভিন্ন সাইট পরিদর্শন এবং প্রত্যেক সপ্তাহে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রত্যেক উপজেলা প্রকৌশলী এবং কাজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত গুণগত মান বজায় রেখে টেকসই উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি। আমরা আশা করি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ৪৫% হবে।”