যশোরে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩৫-৪০ বছর ধরে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইটভাটা শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তির জিগজাগ ভাটা স্থাপন করায় বায়ুদূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। তবে, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে জিগজাগ ভাটাগুলোর সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। এছাড়া, দেশের ইটভাটাগুলো প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করছে, যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবিকা নির্বাহের সাথে সম্পৃক্ত।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ড্রাম চিমনি, ফিক্সড চিমনি ও লাকড়ি দিয়ে পোড়ানো ইটভাটা সম্পূর্ণ বন্ধ করার সিদ্ধান্তে মালিকরা একমত হলেও, বৈধ জিগজাগ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ করেন, কিছু বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ইট শিল্প ধ্বংসের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম বলেন, “আমরা আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারি না। তবে আপনাদের সঙ্গে নিয়েই আইন বাস্তবায়ন করব এবং শ্রমিকদের যাতে দুর্ভোগে না পড়তে হয়, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও আশ্বাস দেন, “স্মারকলিপিটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।”
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি জেলা শাখার সভাপতি কাজী নাজির আহমেদ মুন্নু, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বাবুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।