ঢাকা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা বিএনপিতে কোনো বেয়াদবের জায়গা থাকবে না: হীরা মানুষের কাজ করতে হবে হৃদয় উজার করে: মহসিন মিয়া মধু পাবনা জেল সুপারের মানবিকতায় কারাগার থেকে নিজ দেশে ফিরে গেলেন নেপালী যুবক পাবনায় শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন: পিআইও আবুল কালাম আজাদ ও স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মির্জাপুরে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করায় যুবক গ্রেপ্তার রমজানে ৫০০ জন রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে “মানুষের পাশে আমরা, যশোর” বিজিবির অভিযানে ২০ লাখ টাকার মাদকসহ আটক ১০ বিবেকের জাগরণ: কখন আসবে আমাদের চেতনার আলো? রাজশাহীতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা বদলগাছীতে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন

প্রভাবশালীদের সংশ্লিষ্টতায় পিরোজপুরে ইফতির মালিক মিরাজুলের নেতৃত্বে এলজিইডির প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা লোপাট

সাবেক ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে সরকারী উন্নয়নমূলক কাজের বিভিন্ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইফতি ইটিসিএল প্রাইভেট লিমিটেডের নেতৃত্বে পিরোজপুর জেলায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা লোপাটের বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানান।

বাস্তবায়নাধীন ১৭টি প্রকল্পের মধ্যে ১,৮১০টি স্কিম এর মধ্যে চুক্তিমূল্য ছিল ৩,৫৫৮.৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ছাড়কৃত অর্থ ৩,১৭৫.৫৮ কোটি টাকা ও সম্পাদিত কাজের টাকার পরিমাণ ১,৫২৯.১০ কোটি টাকা। অতএব, সম্পাদিত কাজের হিসাব অনুযায়ী সরকারি কোষাগার থেকে তছরুপ হয়েছে ১,৬৪৭.৪৮ কোটি টাকা।

মন্ত্রণালয় দাখিলকৃত তিনটি প্রতিবেদন অনুযায়ী পিরোজপুর জেলার স্থানীয় জনগণ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকের বক্তব্য পর্যালোচনায় সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ, সাবেক ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম ও সাবেক নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নূরে আলম শাহীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাবের সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে। এছাড়া সিস্টেমে অবৈধভাবে বিল পরিশোধে পিরোজপুর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার ও তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়।

প্রশাসনিক অনিয়মে যোগসাজোসকারী ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানসমূহ হল- মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার, নির্বাহী প্রকৌশলী পিরোজপুর (পিআরএল); আরিফুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয, পিরোজপুর; এ কে এম মোজাম্মেল হক খান, হিসাবরক্ষক (সাময়িক বরখাস্ত), নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়, পিরোজপুর; জাকির হোসেন মিয়া (সাময়িক বরখাস্ত), সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী, নাজিরপুর; মোহাম্মদ বদরুল আলম (সাময়িক বরখাস্ত), উপজেলা প্রকৌশলী, ভান্ডারিয়া; হরষিত সরকার (সাময়িক বরখাস্ত), উপজেলা প্রকৌশল্‌ সদর উপজেলা; রিপন হালদার, সার্ভেয়ার, নেছারাবাদ উপজেলা; মো. আদনান আক্তারুল আজম (সাময়িক বরখাস্ত), প্রকল্প পরিচালক; সুশান্ত রঞ্জন রায় (পিআরএল ভোগরত), প্রকল্প পরিচালক; সৈয়দ আহমেদ আলী (পিআরএল ভোগরত), প্রকল্প পরিচালক; কাজী মিজানুর রহমান (পিআরএল ভোগরত), প্রকল্প পরিচালক।

এছাড়া সিস্টেমে অবৈধভাবে বিল পরিশোধে পিরোজপুর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার ও তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে ও বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইফতি ইটিসিএল (প্রাইভেট লিমিটেড) ইন্টারন্যাশনাল, রুপালি কনস্ট্রাকশন, ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স ইত্যাদি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক তদন্তে প্রতীয়মান হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা

Verified by MonsterInsights

প্রভাবশালীদের সংশ্লিষ্টতায় পিরোজপুরে ইফতির মালিক মিরাজুলের নেতৃত্বে এলজিইডির প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা লোপাট

আপডেট সময় ০৪:৫২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে সরকারী উন্নয়নমূলক কাজের বিভিন্ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইফতি ইটিসিএল প্রাইভেট লিমিটেডের নেতৃত্বে পিরোজপুর জেলায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা লোপাটের বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানান।

বাস্তবায়নাধীন ১৭টি প্রকল্পের মধ্যে ১,৮১০টি স্কিম এর মধ্যে চুক্তিমূল্য ছিল ৩,৫৫৮.৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ছাড়কৃত অর্থ ৩,১৭৫.৫৮ কোটি টাকা ও সম্পাদিত কাজের টাকার পরিমাণ ১,৫২৯.১০ কোটি টাকা। অতএব, সম্পাদিত কাজের হিসাব অনুযায়ী সরকারি কোষাগার থেকে তছরুপ হয়েছে ১,৬৪৭.৪৮ কোটি টাকা।

মন্ত্রণালয় দাখিলকৃত তিনটি প্রতিবেদন অনুযায়ী পিরোজপুর জেলার স্থানীয় জনগণ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকের বক্তব্য পর্যালোচনায় সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ, সাবেক ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম ও সাবেক নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নূরে আলম শাহীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাবের সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে। এছাড়া সিস্টেমে অবৈধভাবে বিল পরিশোধে পিরোজপুর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার ও তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়।

প্রশাসনিক অনিয়মে যোগসাজোসকারী ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানসমূহ হল- মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার, নির্বাহী প্রকৌশলী পিরোজপুর (পিআরএল); আরিফুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয, পিরোজপুর; এ কে এম মোজাম্মেল হক খান, হিসাবরক্ষক (সাময়িক বরখাস্ত), নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়, পিরোজপুর; জাকির হোসেন মিয়া (সাময়িক বরখাস্ত), সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী, নাজিরপুর; মোহাম্মদ বদরুল আলম (সাময়িক বরখাস্ত), উপজেলা প্রকৌশলী, ভান্ডারিয়া; হরষিত সরকার (সাময়িক বরখাস্ত), উপজেলা প্রকৌশল্‌ সদর উপজেলা; রিপন হালদার, সার্ভেয়ার, নেছারাবাদ উপজেলা; মো. আদনান আক্তারুল আজম (সাময়িক বরখাস্ত), প্রকল্প পরিচালক; সুশান্ত রঞ্জন রায় (পিআরএল ভোগরত), প্রকল্প পরিচালক; সৈয়দ আহমেদ আলী (পিআরএল ভোগরত), প্রকল্প পরিচালক; কাজী মিজানুর রহমান (পিআরএল ভোগরত), প্রকল্প পরিচালক।

এছাড়া সিস্টেমে অবৈধভাবে বিল পরিশোধে পিরোজপুর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার ও তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে ও বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইফতি ইটিসিএল (প্রাইভেট লিমিটেড) ইন্টারন্যাশনাল, রুপালি কনস্ট্রাকশন, ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স ইত্যাদি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক তদন্তে প্রতীয়মান হয়।