ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বরিশালের বাবুগঞ্জে ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু, শোকের ছায়া পুরো বাবুগঞ্জে শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা

নবীগঞ্জের কৃতিসন্তান মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি পুরুষ বিধু বাবুর ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী

প্রয়াত শ্যামাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত (বিধু বাবুর)

বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সৈনিক, ৫ নাম্বার সেক্টরের বালট ও টেকেরঘাট সাব-সেক্টরের সমন্বয়ক, প্রখ্যাত সমাজসেবক, নবীগঞ্জের এক সময়ের জমিদার ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রয়াত শ্যামাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত (বিধু বাবুর) ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

“বিধুবাবু” ১৯২৭ সালের ২৭ মে অবিভক্ত ভারতের আসাম প্রদেশের সিলেট জেলার নবীগঞ্জ থানার গুজাখাইড় গ্রামের ঐতিহ্যবাহী জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জমিদার সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত ও মাতা গুরুকুমারী দাশগুপ্ত। তিনি নবীগঞ্জ জে. কে. উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বছর পড়াশোনা করে ভর্তি হন সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে এন্ট্রাস, সিলেট এমসি কলেজ থেকে আই.এ. ও হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করার পর কলকাতা রিপন কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন।

“কলকাতা রিডিং ক্লাব” থেকে ঘোড়া দৌড় প্রশিক্ষণ এবং “কলকাতা সুটিং ক্লাব” থেকে বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মাহাত্মা গান্ধীর আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে। ৫২’র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে পূর্ব বাংলায় স্বাধীকারের চেতনায় ক্রমাগত জ্বলে ওঠেন, এরপর ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী-মুজিব এর নেতৃত্বে তিনি যুক্তফ্রন্টের পক্ষে তৃণমূলে কাজ করেন। মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর সাথে সেই সময়েই আদর্শিক সম্পর্ক থেকে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নবীগঞ্জে তখনকার সময়ে তিনিই ছিলেন মূল নেতৃত্বে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো তাঁরই নির্দেশে।

পাকিস্তান আমলে ব্যক্তিগত অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নবীগঞ্জবাসী তাঁকে ১৯৬৫ সালে নির্বাচিত করে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন (বর্তমান পৌরসভা ও ৮নং ইউ/পি) কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ৬৬’র ৬ দফা ও ৬৯’র গণআন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। তৎকালীন নবীগঞ্জে তিনিই ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের ‘নবীগঞ্জ’ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনিত করা হলেও তিনি নির্বাচনে নিস্পৃহ ছিলেন। নির্বাচন না করলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথেই ছিলেন, অন্য অনেকের মতো দু’নৌকায় পা রাখেন নি। ১৯৭১ এ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করার কাজ। ২/৩ এপ্রিল মেজর সি. আর দত্ত কর্তৃক সংগঠিত শেরপুর-সাদিপুরের যুদ্ধে তাঁর ৩ নট ৩ রাইফেল, দেশিয় অস্ত্রসহ শত শত লোক নিয়ে ভূমিকা রাখেন। নির্বাচিত হন নবীগঞ্জ থানা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের নেতা। ছাত্র, যুবক, কৃষকদের সংগঠিত করে অবসরপ্রাপ্ত আনসার ও পুলিশ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে গঠন করেন নবীগঞ্জের সর্বপ্রথম “মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড”।

শিলংয়ে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা জেনারেল গুরু বক্স সিং, কর্নেল গীল, মেজর বক্সী ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে যোগাযোগ হয় তাঁর। জেনারেল গুরু বক্স সিং তাঁকে ৫নং সেক্টরের বালাট ও টেকেরঘাট সাব-সেক্টরের সমন্বয়ক করে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পাঠান। তাঁর নেতৃত্বে ৫নং সেক্টরের অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন সংগঠিত হয়। পাশাপাশি নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, দিরাইসহ ভাটী অঞ্চলে এদেশিয় ভদ্রলোকের মুখোশপড়া, সুযোগ সন্ধানী, ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ও রাজাকার কর্তৃক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িঘর লুন্টন, অগ্নিসংযোগ, নারী ধর্ষনসহ বিভিন্ন অপকর্ম প্রতিহত করেন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য যুদ্ধসমূহের মধ্যে আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, তাহিরপুরের চিনাকান্দির বাজার, জামলাবাজ উচ্চ বিদ্যালয়, দিরাই থানা, নবীগঞ্জ থানা ও নবীগঞ্জ বাজারসহ অসংখ্য যুদ্ধ। যুদ্ধ বিধ্বস্ত নবীগঞ্জ পুনর্গঠনে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। সেই সময় সরকারী বরাদ্দের পাশাপাশি নিজ তহবীল থেকে আর্থিক সহযোগীতা ও বাড়িঘর পুনঃনির্মাণে সহযোগিতা করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে নবীগঞ্জবাসীসহ তাঁর সহযোদ্ধা, ভক্ত, শুভাকাঙ্খী সকলের প্রত্যাশা ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের এই কিংবদন্তীকে সরকার বীরত্ব ভূষণ খেতাবে ভূষিত করবে। তাদের এই প্রত্যাশা যেমন পূর্ণ হয়নি, তেমনি স্বাধীনতার পাঁচ দশকেরও অধিক সময় অতিবাহিত হলেও তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাঁর জন্ম ও কর্মভূমি নবীগঞ্জে স্মৃতি স্বরূপ কোনো কিছু করা হয়নি।

সারাদেশে যখন কিংবদন্তী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে তাদের নামানুসারে সড়ক, চত্বর বা প্রতিষ্ঠানের নামকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে বিধু বাবুর প্রতি এই অবহেলা সত্যিই পীড়াদায়ক। তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া বানিয়াচং-নবীগঞ্জ রোডটি তাঁর নামানুসারে বিধু বাবু সড়ক নামকরণ করার দীর্ঘদিনের দাবী এলাকাবাসীর।

বিধু বাবু দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকার পর ভারতের কলকাতা শহরের একটি ক্লিনিকে ৯ মার্চ, ২০১৩ (শনিবার) রাত ১১.০০ টায় ইহলোক ছেড়ে পরলোক গমন করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালের বাবুগঞ্জে ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু, শোকের ছায়া পুরো বাবুগঞ্জে

Verified by MonsterInsights

নবীগঞ্জের কৃতিসন্তান মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি পুরুষ বিধু বাবুর ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট সময় ০৭:১৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সৈনিক, ৫ নাম্বার সেক্টরের বালট ও টেকেরঘাট সাব-সেক্টরের সমন্বয়ক, প্রখ্যাত সমাজসেবক, নবীগঞ্জের এক সময়ের জমিদার ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রয়াত শ্যামাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত (বিধু বাবুর) ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

“বিধুবাবু” ১৯২৭ সালের ২৭ মে অবিভক্ত ভারতের আসাম প্রদেশের সিলেট জেলার নবীগঞ্জ থানার গুজাখাইড় গ্রামের ঐতিহ্যবাহী জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জমিদার সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত ও মাতা গুরুকুমারী দাশগুপ্ত। তিনি নবীগঞ্জ জে. কে. উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বছর পড়াশোনা করে ভর্তি হন সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে এন্ট্রাস, সিলেট এমসি কলেজ থেকে আই.এ. ও হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করার পর কলকাতা রিপন কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন।

“কলকাতা রিডিং ক্লাব” থেকে ঘোড়া দৌড় প্রশিক্ষণ এবং “কলকাতা সুটিং ক্লাব” থেকে বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মাহাত্মা গান্ধীর আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে। ৫২’র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে পূর্ব বাংলায় স্বাধীকারের চেতনায় ক্রমাগত জ্বলে ওঠেন, এরপর ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী-মুজিব এর নেতৃত্বে তিনি যুক্তফ্রন্টের পক্ষে তৃণমূলে কাজ করেন। মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর সাথে সেই সময়েই আদর্শিক সম্পর্ক থেকে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নবীগঞ্জে তখনকার সময়ে তিনিই ছিলেন মূল নেতৃত্বে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো তাঁরই নির্দেশে।

পাকিস্তান আমলে ব্যক্তিগত অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নবীগঞ্জবাসী তাঁকে ১৯৬৫ সালে নির্বাচিত করে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন (বর্তমান পৌরসভা ও ৮নং ইউ/পি) কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ৬৬’র ৬ দফা ও ৬৯’র গণআন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। তৎকালীন নবীগঞ্জে তিনিই ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের ‘নবীগঞ্জ’ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনিত করা হলেও তিনি নির্বাচনে নিস্পৃহ ছিলেন। নির্বাচন না করলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথেই ছিলেন, অন্য অনেকের মতো দু’নৌকায় পা রাখেন নি। ১৯৭১ এ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করার কাজ। ২/৩ এপ্রিল মেজর সি. আর দত্ত কর্তৃক সংগঠিত শেরপুর-সাদিপুরের যুদ্ধে তাঁর ৩ নট ৩ রাইফেল, দেশিয় অস্ত্রসহ শত শত লোক নিয়ে ভূমিকা রাখেন। নির্বাচিত হন নবীগঞ্জ থানা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের নেতা। ছাত্র, যুবক, কৃষকদের সংগঠিত করে অবসরপ্রাপ্ত আনসার ও পুলিশ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে গঠন করেন নবীগঞ্জের সর্বপ্রথম “মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড”।

শিলংয়ে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা জেনারেল গুরু বক্স সিং, কর্নেল গীল, মেজর বক্সী ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে যোগাযোগ হয় তাঁর। জেনারেল গুরু বক্স সিং তাঁকে ৫নং সেক্টরের বালাট ও টেকেরঘাট সাব-সেক্টরের সমন্বয়ক করে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পাঠান। তাঁর নেতৃত্বে ৫নং সেক্টরের অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন সংগঠিত হয়। পাশাপাশি নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, দিরাইসহ ভাটী অঞ্চলে এদেশিয় ভদ্রলোকের মুখোশপড়া, সুযোগ সন্ধানী, ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ও রাজাকার কর্তৃক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িঘর লুন্টন, অগ্নিসংযোগ, নারী ধর্ষনসহ বিভিন্ন অপকর্ম প্রতিহত করেন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য যুদ্ধসমূহের মধ্যে আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, তাহিরপুরের চিনাকান্দির বাজার, জামলাবাজ উচ্চ বিদ্যালয়, দিরাই থানা, নবীগঞ্জ থানা ও নবীগঞ্জ বাজারসহ অসংখ্য যুদ্ধ। যুদ্ধ বিধ্বস্ত নবীগঞ্জ পুনর্গঠনে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। সেই সময় সরকারী বরাদ্দের পাশাপাশি নিজ তহবীল থেকে আর্থিক সহযোগীতা ও বাড়িঘর পুনঃনির্মাণে সহযোগিতা করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে নবীগঞ্জবাসীসহ তাঁর সহযোদ্ধা, ভক্ত, শুভাকাঙ্খী সকলের প্রত্যাশা ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের এই কিংবদন্তীকে সরকার বীরত্ব ভূষণ খেতাবে ভূষিত করবে। তাদের এই প্রত্যাশা যেমন পূর্ণ হয়নি, তেমনি স্বাধীনতার পাঁচ দশকেরও অধিক সময় অতিবাহিত হলেও তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাঁর জন্ম ও কর্মভূমি নবীগঞ্জে স্মৃতি স্বরূপ কোনো কিছু করা হয়নি।

সারাদেশে যখন কিংবদন্তী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে তাদের নামানুসারে সড়ক, চত্বর বা প্রতিষ্ঠানের নামকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে বিধু বাবুর প্রতি এই অবহেলা সত্যিই পীড়াদায়ক। তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া বানিয়াচং-নবীগঞ্জ রোডটি তাঁর নামানুসারে বিধু বাবু সড়ক নামকরণ করার দীর্ঘদিনের দাবী এলাকাবাসীর।

বিধু বাবু দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকার পর ভারতের কলকাতা শহরের একটি ক্লিনিকে ৯ মার্চ, ২০১৩ (শনিবার) রাত ১১.০০ টায় ইহলোক ছেড়ে পরলোক গমন করেন।