বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বেশিরভাগ সদস্য বর্তমানে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ৫ আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন এবং তাদের সাথে দলীয় অনেক নেতা ও সদস্যও ভারতে চলে গেছেন।
আওয়ামী লীগের নেতাদের মতে, ভারতে অবস্থান করাটা ‘সাময়িকভাবে আত্মগোপনে’ থাকার বিষয়, তারা কোনোভাবেই পালিয়ে যাননি, বরং কোৗশলগত কারণে সেখানে আছেন।
এছাড়াও, এই নেতারা পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা, দিল্লি, ত্রিপুরা ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ২০০ জন আওয়ামী লীগ নেতা পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছেন, যাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং শীর্ষ নেতারা রয়েছেন। ইউরোপসহ অন্যান্য দেশেও কিছু নেতারা পালিয়ে গেছেন।
ভারতে আশ্রয় নেওয়ার কারণ হিসেবে বাহাউদ্দিন নাসিম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা ও তার পরিবার নিরুপায় হয়ে ভারতে এসেছেন এবং এটি বাংলাদেশের জন্য এক নিকটতম প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে ভারতেই আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও লাখো মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল।
নেতারা কীভাবে যোগাযোগ করছেন?
শেখ হাসিনার সাথে আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগ হয়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অ্যাপস ব্যবহার করে শেখ হাসিনার সাথে যোগাযোগ রাখেন। একাধিক নেতা জানান, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দলীয় নির্দেশনা দেন এবং সদস্যরা মেসেজের মাধ্যমে তার কাছ থেকে উত্তর পান।
ভারতে আশ্রয় নেওয়া নেতারা সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং ফেসবুকের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কলকাতা বা তার আশপাশে যারা আছেন, তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও সাক্ষাৎ হয়ে থাকে। সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেন, তারা ডিজিটাল মাধ্যমেই দলের কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং কর্মসূচি ঘোষণা করছেন।
আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতের আশ্রয়ে থাকলেও দলের কার্যক্রম সেভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন, যদিও এই পরিস্থিতি দেশীয় রাজনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে।