ঢাকা ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা

ময়মনসিংহে শিশুকে অপহরণ করে লাশ গুমের ঘটনায় যুবকের আমৃত্যু কারাদন্ড

ময়মনসিংহের নান্দাইলে মুক্তিপণ দাবিতে শিশু তাসিনকে (৭) অপহরণ করে হত্যার পর টয়লেটের স্লাবে মরদেহ গুমের ঘটনায় শহীদ মিয়া (৩৪) নামে এক যুবককে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এ ঘটনায় খালাস পেয়েছে অভিযুক্তের বাবা তাহের উদ্দিন ও মা তহুরা খাতুন নামের অপর দুই আসামি।

দন্ডপ্রাপ্ত শহীদ মিয়া জেলার নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী গ্রামের তাহের উদ্দিন ও তহুরা বেগম দম্পতির ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী মনসুর আসামী শহীদ মিয়ার উপস্থিতে এই রায় ঘোষনা করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম রাজীব আসামি শহিদ মিয়ার আমৃত্ব কারাদন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলার নান্দাইলের মুল্লী গ্রামের মৃত আ. হামিদের ছেলে আব্দুল কাইয়ুমের ১১ বছরের কন্যা মোছা. মিতু আক্তার ও সাড়ে সাত বছরের তাসিন নামে এক ছেলে ছিল। মিতু পঞ্চম শ্রেণীতে এবং তাসিন প্রথম শ্রেণিতে পড়তো। ১১ বছর সৌদি আরবে প্রবাসী থাকাকালে কাইয়ুম দুই বছর পর পর বাড়িতে আসেন। বিবাদী শহীদ মিয়া ও তার পরিবারের সাথে বসত বাড়ির সীমানা ও গাছপালা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট প্রবাসীর শিশুপুত্র তাসিনকে অপহরণ করে। পরে মুক্তিপণ দাবি করে শহীদ। মুক্তিপণ না পেয়ে তাসিনকে শ্বাসরুদ্ধ করে ও ঘাড় ভেঙে হত্যা করে টয়লেটের স্লাবের ভিতরে মরদেহ গুম করে রাখে।

এ ঘটনায় শিশু তাসিনের মা পলিনা খাতুন বাদী হয়ে নান্দাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় র্দীঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১ মার্চ চার্জ গঠন হলে মোট ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষনা করা হয়।

মামলার রায়ে অভিযুক্ত শহীদ মিয়াকে দন্ডবিধির ৩৬৪ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড, ৩০২ ধারায় আমৃত্যু কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু

Verified by MonsterInsights

ময়মনসিংহে শিশুকে অপহরণ করে লাশ গুমের ঘটনায় যুবকের আমৃত্যু কারাদন্ড

আপডেট সময় ০৮:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহের নান্দাইলে মুক্তিপণ দাবিতে শিশু তাসিনকে (৭) অপহরণ করে হত্যার পর টয়লেটের স্লাবে মরদেহ গুমের ঘটনায় শহীদ মিয়া (৩৪) নামে এক যুবককে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এ ঘটনায় খালাস পেয়েছে অভিযুক্তের বাবা তাহের উদ্দিন ও মা তহুরা খাতুন নামের অপর দুই আসামি।

দন্ডপ্রাপ্ত শহীদ মিয়া জেলার নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী গ্রামের তাহের উদ্দিন ও তহুরা বেগম দম্পতির ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী মনসুর আসামী শহীদ মিয়ার উপস্থিতে এই রায় ঘোষনা করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম রাজীব আসামি শহিদ মিয়ার আমৃত্ব কারাদন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলার নান্দাইলের মুল্লী গ্রামের মৃত আ. হামিদের ছেলে আব্দুল কাইয়ুমের ১১ বছরের কন্যা মোছা. মিতু আক্তার ও সাড়ে সাত বছরের তাসিন নামে এক ছেলে ছিল। মিতু পঞ্চম শ্রেণীতে এবং তাসিন প্রথম শ্রেণিতে পড়তো। ১১ বছর সৌদি আরবে প্রবাসী থাকাকালে কাইয়ুম দুই বছর পর পর বাড়িতে আসেন। বিবাদী শহীদ মিয়া ও তার পরিবারের সাথে বসত বাড়ির সীমানা ও গাছপালা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট প্রবাসীর শিশুপুত্র তাসিনকে অপহরণ করে। পরে মুক্তিপণ দাবি করে শহীদ। মুক্তিপণ না পেয়ে তাসিনকে শ্বাসরুদ্ধ করে ও ঘাড় ভেঙে হত্যা করে টয়লেটের স্লাবের ভিতরে মরদেহ গুম করে রাখে।

এ ঘটনায় শিশু তাসিনের মা পলিনা খাতুন বাদী হয়ে নান্দাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় র্দীঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১ মার্চ চার্জ গঠন হলে মোট ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষনা করা হয়।

মামলার রায়ে অভিযুক্ত শহীদ মিয়াকে দন্ডবিধির ৩৬৪ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড, ৩০২ ধারায় আমৃত্যু কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।