সৌদি আরব এক বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে যে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক গড়বে না। দেশটি আরও জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখণ্ড থেকে বাস্তুচ্যুত করার কোনো চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সৌদি আরবের অবস্থানের বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হবে না।
এ বিবৃতিটি গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হয়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, সৌদি আরব ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানাচ্ছে না। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই বিষয়ে তার ‘স্পষ্ট’ অবস্থান ঘোষণা করেছেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, সৌদি আরব পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে এবং তার আগে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না।
এর আগে, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, ফিলিস্তিনিরা অন্য জায়গায় পুনর্বাসিত হলে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র নেবে এবং গাজাকে নতুন করে গড়ে তুলবে। এ সময় নেতানিয়াহু সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা বলেন।
২০২০ সালে, ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো এবং বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। তখন থেকেই এ আলোচনা চলছিল যে, সৌদি আরবও হয়তো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে, তবে গাজা সংঘাতের কারণে রিয়াদ এই আলোচনা স্থগিত করেছে এবং তাদের অবস্থান আরও কঠোর করেছে।
সৌদি আরব এখনো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি ও বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে ওয়াশিংটনের সহায়তার বিনিময়ে গত কিছু বছর ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আলোচনা চলছে।