ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে জুলকারনাইনের পরামর্শ ‘ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ’ বলেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ দুই মাস ছাত্র-জনতা রাজপথে থাকবে: নাহিদ ইসলাম সারজিস আলম আহত ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার হামলা, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর শেষ বলে ম্যাচ জিতে ফাইনালে চিটাগং জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বোয়ালখালী উপজেলার বালিকা দলকে (ইউএনও) হিমাদ্রি খীসার অভিনন্দন মুরাদনগরে সম্পত্তি বিরোধে আপন ভাতিজিকে টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে নুরের বার্তা পাংশায় ৫৩ তম জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে জামায়াতের উদ্যোগে ‘বিপ্লবের শহীদ’ স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন কালুরঘাট সেতুতে টোল আদায় শুরু

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

সৌদি আরব এক বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে যে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক গড়বে না। দেশটি আরও জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখণ্ড থেকে বাস্তুচ্যুত করার কোনো চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সৌদি আরবের অবস্থানের বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হবে না।

এ বিবৃতিটি গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হয়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, সৌদি আরব ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানাচ্ছে না। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই বিষয়ে তার ‘স্পষ্ট’ অবস্থান ঘোষণা করেছেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, সৌদি আরব পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে এবং তার আগে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না।

এর আগে, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, ফিলিস্তিনিরা অন্য জায়গায় পুনর্বাসিত হলে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র নেবে এবং গাজাকে নতুন করে গড়ে তুলবে। এ সময় নেতানিয়াহু সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা বলেন।

২০২০ সালে, ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো এবং বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। তখন থেকেই এ আলোচনা চলছিল যে, সৌদি আরবও হয়তো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে, তবে গাজা সংঘাতের কারণে রিয়াদ এই আলোচনা স্থগিত করেছে এবং তাদের অবস্থান আরও কঠোর করেছে।

সৌদি আরব এখনো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি ও বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে ওয়াশিংটনের সহায়তার বিনিময়ে গত কিছু বছর ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আলোচনা চলছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
Verified by MonsterInsights

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

আপডেট সময় ০৯:১৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সৌদি আরব এক বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে যে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক গড়বে না। দেশটি আরও জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখণ্ড থেকে বাস্তুচ্যুত করার কোনো চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সৌদি আরবের অবস্থানের বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হবে না।

এ বিবৃতিটি গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হয়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, সৌদি আরব ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানাচ্ছে না। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই বিষয়ে তার ‘স্পষ্ট’ অবস্থান ঘোষণা করেছেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, সৌদি আরব পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে এবং তার আগে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না।

এর আগে, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, ফিলিস্তিনিরা অন্য জায়গায় পুনর্বাসিত হলে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র নেবে এবং গাজাকে নতুন করে গড়ে তুলবে। এ সময় নেতানিয়াহু সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা বলেন।

২০২০ সালে, ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো এবং বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। তখন থেকেই এ আলোচনা চলছিল যে, সৌদি আরবও হয়তো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে, তবে গাজা সংঘাতের কারণে রিয়াদ এই আলোচনা স্থগিত করেছে এবং তাদের অবস্থান আরও কঠোর করেছে।

সৌদি আরব এখনো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি ও বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে ওয়াশিংটনের সহায়তার বিনিময়ে গত কিছু বছর ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আলোচনা চলছে।