খুলনা জোনাল অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুর রশিদের নিকট সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজার যাঁচ কাজসহ অন্যান্য কাজ থাকায় অত্যান্ত সুকৌশলে সাধারণ ভূমি মালিকদের জমি বা সরকারি সম্পত্তি কোনো প্রকার আপীল বা কেস ছাড়াই বিভিন্ন নামে এবং জমির শ্রেণির পরিবর্তনসহ নানান কাজ টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে করিয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকার হাতিয়ে নিচ্ছে। এবারের পর্বে রয়েছে সেই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার জেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজায়। আব্দুর রশিদ সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তা হয়ে আলাউদ্দিন প্রদ্বীপ দেখিয়ে মুন্সিগঞ্জ মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকদের জমি কখনো নয় আবার কখনো ছয় এই খেলা দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজায় ডিপি ৭০৬ খতিয়ানের ২ নং ক্রমিকে গিজ্জন নাথ মন্ডলের পুত্র গনেশ চন্দ্র মন্ডল ও কার্তিক চন্দ্র মন্ডল, শিবপদ মন্ডলের পুত্র দেবেন্দ্রনাথ মন্ডলের হিস্যা হতে টেম্পারিং এর মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে কোনো কেস ছাড়াই হিস্যা কাটাকাটি করা হয়।
ডিপি ৭১৬ খতিয়ানের হাল দাগ ৫৩৭৪ এরিয়া ছিল ১৩ শতক, বসন্ত কুমার মন্ডলের পুত্র জিতেন্দ্র নাথ মন্ডলের নিকট হতে টাকার বিনিময়ে ১৩ শতকের স্থলে ১৬ শতক ভূমি টেম্পারিং এর মাধ্যম রেকর্ড প্রস্তুত করিয়ে দেন এই সিন্ডিকেট।
ডিপি ৭১৯ খতিয়ানের হাল ১১৫৩ দাগটি নিবরণ চরণ মন্ডলের পুত্র গিরেন্দ্রনাথ মন্ডলের নিকট হতে অবৈধভাবে মোটা অংকের টাকা নিয়ে টেম্পারিং এর মাধ্যম তার নামীয় ডিপি ৭১৯ খতিয়ানে ১৬ রেকর্ড প্রস্তুত করিয়ে দেন।
ডিপি ৭২৮ খতিয়ানের হাল ৯৩৮ দাগটি ভীম মন্ডলের পুত্র শিবপূ মন্ডলের নিকট হতে সুবিধা নিয়ে টেম্পারিং এর মাধ্যম ২১ শতক ভূমি তার নামীয় ডিপিতে রেকর্ড করিয়ে দেন।
ডিপি ৭২৯ নং খতিয়ানে ৯৩৮ দাগটির এরিয়া ২০ শতক ছিল।
ভীম মন্ডলের পুত্র বসন্ত মন্ডলের নিকট হতে টাকার বিনিময় ২০ শতকের এরিয়ার স্থলে ২৩ শতক ভূমি তার নামীয় ডিপি অন্তর্ভুক্ত করিয়ে দেন।
ডিপি ৭৫৫ নং খতিয়ানে হাল ৭০৪৯ দাগের ৪০ শতক ভূমি ছিল বাড়ি শ্রেণির। কৌশলগত পন্থা অনুসরণ করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার লক্ষে, ভূমি মালিক উভয় চরণ পুত্র গৌরপদ এর নিকট হতে অর্থের বিনিময়ে কোনো কেস বা শ্রেণি পরিবর্তন ছাড়াই টেম্পারিং এর মাধ্যম বিলন শ্রেণিতে রপান্তর করেন।
আব্দুর রশিদ ও সুজিত রায়ের এমন অপকর্মের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, গড়ছেন টাকার পাহাড়। যেন দেখার কেউ নেই!
আরো অধিকতর তথ্যানুসন্ধানে বের হয়ে আসবে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
ঐ মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকগনকে এই খেলা দেখানোর সহযোগিতায় রয়েছে খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের বড় বাবু সুজিত রায় পিওন আব্দুর রহিম
ঐ মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকগণকে এই খেলা দেখানোর সহযোগিতায় রয়েছে খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের বড় বাবু সুজিত রায় পিওন আব্দুর রহিম এবং অফিসার আব্দুর রশিদের ব্যক্তিগত বহিরাগত দালাল আব্দুস সামাদ।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে আব্দুর রশিদ শ্যামনগর উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসে “ড্রাসম্যান” হিসেবে চাকুরীকালিন সময়ে সে বিভিন্ন ভূমি মালিকদের দাম্ভিকগতার সাথে বলতেন, “গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা তার নিকট আত্মীয়। তার বিষয় কোনো কিছু করেও লাভ নেই। অধিদপ্তরে তার নিজস্ব লোক আছে।”
ঐ অফিসের বড় বাবু খ্যাত সুজিত রায়ের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় হওয়ায়, খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলা নিবাসী সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ চন্দ্রকে নিজের নিকট আত্মীয় বলে পরিচয় দিতেন।
জানা যায়, কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের ঘুষ দুনীতি ও টেম্পারিংয়ের বিষয়ে নানান অভিযোগ দুদকসহ একাধিক দপ্তরে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এই অপকর্মের শেষ কোথায়? এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে চায় সাধারণ ভূমি মালিকগণ। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করলে বের হয়ে আসবে থলের বিডালটি এমনটি দাবী মুন্সিগঞ্জ মৌজার ভূমি মালিকদের।
আগামী পর্বে থাকছে আরো ভয়ংকর তথ্য।