ঢাকা ০৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’- এ অংশগ্রহণ করলেন বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চলছে ডিজিটাল মাধ্যমে ইসরায়েলি নেতাদের ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা দখলের প্রস্তাবে সমর্থন মিয়ানমারের জান্তা সরকার নারীকে বাধ্যতামূলক সামরিক চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত করছে ভারতের পার্লামেন্টে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে আলোচনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ‘ধানমন্ডি ৩২’ মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত ৪ পুলিশ সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব শেখ মুজিবকে নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক্সে পোস্টের সত্যতা! অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম

ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ৪০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার এটি ৫ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গিয়েছিল। ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের এমন দাম বৃদ্ধির খবর এসেছে। বিশ্লেষকরা মনে করনে, এ হামলা মধ্যপ্রাচ্যে আরও বিস্তৃত এক সংঘাতের শঙ্কা জাগিয়েছে। সংঘাত তেল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর অপরিশোধিত তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় দাম বেড়েছে বলে রয়টার্স ও আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) মধ্য রাতে লেবাননে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে ইরান তেলআবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তেল সরবরাহকারী অন্যতম দেশ ইরানের সামরিক পদক্ষেপে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। এতে যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আরও তীব্র হলো।

মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, ইরান বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। শিয়া প্রধান দেশটি তেল উৎপাদনকারী দেশের সংস্থা ওপেকের তৃতীয় বৃহত্তম সদস্য। এই অঞ্চলের প্রধান তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রটি মঙ্গলবার ইসরায়েলে ১৮০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, লেবানন ও গাজার যুদ্ধে ইরানের সরাসরি সম্পৃক্ততা তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।

ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের একটি নোটে বলা হয়েছে, ইরানের বড় ধরনের হামলা যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে টেনে নিতে পারে। ইরান বিশ্ব তেল উৎপাদনের প্রায় ৪ ‍শতাংশ জোগান দেয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যদি ইরানের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়, তবে সৌদি আরব উৎপাদন বাড়াবে কিনা।

এ বিষয়ে ওপেক প্লাসের একটি প্যানেল আজ বুধবার (২ অক্টোবর) বৈঠক করবে এবং তেল বাজারের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। তবে এই বৈঠক থেকে কোনো নীতিগত পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে না।

মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে কোনও সামরিক অস্থিরতা হরমুজ প্রণালি দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

বৈশ্বিক তেল বাণিজ্যের প্রায় ২০ শতাংশ কুয়েত ও ওমানের মাঝে অবস্থিত এই নৌপথটি দিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও ইরাকসহ অন্যান্য ওপেক সদস্যরাও এই প্রণালি দিয়েই তাদের অধিকাংশ বাণিজ্য সম্পন্ন করে থাকে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
Verified by MonsterInsights

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম

আপডেট সময় ০৩:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ৪০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার এটি ৫ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গিয়েছিল। ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের এমন দাম বৃদ্ধির খবর এসেছে। বিশ্লেষকরা মনে করনে, এ হামলা মধ্যপ্রাচ্যে আরও বিস্তৃত এক সংঘাতের শঙ্কা জাগিয়েছে। সংঘাত তেল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর অপরিশোধিত তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় দাম বেড়েছে বলে রয়টার্স ও আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) মধ্য রাতে লেবাননে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে ইরান তেলআবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তেল সরবরাহকারী অন্যতম দেশ ইরানের সামরিক পদক্ষেপে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। এতে যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আরও তীব্র হলো।

মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, ইরান বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। শিয়া প্রধান দেশটি তেল উৎপাদনকারী দেশের সংস্থা ওপেকের তৃতীয় বৃহত্তম সদস্য। এই অঞ্চলের প্রধান তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রটি মঙ্গলবার ইসরায়েলে ১৮০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, লেবানন ও গাজার যুদ্ধে ইরানের সরাসরি সম্পৃক্ততা তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।

ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের একটি নোটে বলা হয়েছে, ইরানের বড় ধরনের হামলা যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে টেনে নিতে পারে। ইরান বিশ্ব তেল উৎপাদনের প্রায় ৪ ‍শতাংশ জোগান দেয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যদি ইরানের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়, তবে সৌদি আরব উৎপাদন বাড়াবে কিনা।

এ বিষয়ে ওপেক প্লাসের একটি প্যানেল আজ বুধবার (২ অক্টোবর) বৈঠক করবে এবং তেল বাজারের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। তবে এই বৈঠক থেকে কোনো নীতিগত পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে না।

মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে কোনও সামরিক অস্থিরতা হরমুজ প্রণালি দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

বৈশ্বিক তেল বাণিজ্যের প্রায় ২০ শতাংশ কুয়েত ও ওমানের মাঝে অবস্থিত এই নৌপথটি দিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও ইরাকসহ অন্যান্য ওপেক সদস্যরাও এই প্রণালি দিয়েই তাদের অধিকাংশ বাণিজ্য সম্পন্ন করে থাকে।