ইসরায়েলি হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চলে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শিশু ও একজন চিকিৎসকও রয়েছেন। ৭ অক্টোবর থেকে অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং এতে এখন পর্যন্ত ৪৫,০৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন এক লাখ সাত হাজারেরও বেশি মানুষ।
জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, গাজায় ত্রাণ প্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী তাদের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করছে। গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত লাহিয়া, বেইত হানুন এবং জাবালিয়া অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘ বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘের সহায়তা মিশনকে বাধা দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ডুজারিক।
তিনি বলেন, “গাজার উত্তরাঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তার জন্য ইসরায়েলকে সহায়তার হাত বাড়াতে হবে।” ত্রাণের অভাবে এখানকার মানুষজন খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সেবার সংকটে আছেন, যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাচ্ছে।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ৪০ বার গাজায় ত্রাণ প্রবেশের চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে প্রতিবারই ত্রাণ প্রবাহ আটকে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায়, মানবিক সহায়তা দ্রুত পৌঁছানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলকে বাধা প্রদান না করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরায়েলের অবরোধ এবং বোমাবর্ষণের কারণে গাজায় মানবিক সংকট তীব্র হয়েছে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন গাজার জনগণের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য আরও চাপ সৃষ্টি করছে।