আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দেশ ত্যাগের বিষয়ে পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আইজিপি’র কাছ থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
তাজুল ইসলাম জানান, আদালত ওবায়দুল কাদেরকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর কীভাবে তিনি বিদেশ গিয়েছেন, কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে আইজিপিকে এর বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে।
তিনি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তবে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
এছাড়া, তাজুল ইসলাম জানান, গুমের ঘটনার সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। গুম কমিশন তাদের রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার জন্য দুই মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের অগ্রগতি জানতেও আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে, ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান জানিয়ে ছিলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য ট্রাইব্যুনাল এক মাসের সময় দিয়েছিল। তবে, তদন্তের প্রতিবেদন ১৮ ডিসেম্বর জমা দেওয়ার কথা ছিল।
ওই ৪৬ জনের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, বিচারপতি, সচিব ও অন্যান্য শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদেরও নাম রয়েছে। ১৮ নভেম্বর ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল।