ঢাকা ১২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প সৌম্যর আঙুলে পাঁচ সেলাই; ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন, বিপিএল খেলা নিয়েও শঙ্কা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন লাপাতা লেডিস দিয়ে অস্কার জিতবে ভারত: আমির খান ম্যাডোনা ২০ বছর পর স্টুয়ার্ট প্রাইসের সঙ্গে নতুন গান নিয়ে ফিরছেন ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় যা বললেন হাসনাত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা চাঁদপুরে বাবা ছেলের সম্পর্ক ছিন্ন করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ত্যাজ্য ঘোষণা হিজবুল্লাহ নয়, নিশ্চিহ্ন হবে ইসরায়েল: খামেনি এক যুগ পর দামেস্কে উড়ল ফ্রান্সের পতাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩

দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের বিধান বাতিল, ফিরল ‘তত্ত্বাবধায়ক’

বাংলাদেশের হাইকোর্ট মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) গুরুত্বপূর্ণ একটি রায় ঘোষণা করেছে, যেখানে দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের বিধান বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও গণভোট পুনঃপ্রবর্তনের পক্ষে রায় প্রদান করেছে। একই সাথে সংবিধান বহির্ভূতভাবে ক্ষমতা দখল সংক্রান্ত ৭-এর ক ও খ অনুচ্ছেদও বাতিল করা হয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। এই রায়ের মাধ্যমে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারী রুলটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এছাড়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের পর ওই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আদালত এদিন রায় দেন। রুলটি গত ৫ ডিসেম্বর জারি করা হয়েছিল, এবং এর শুনানি চলে ২৩ কার্যদিবস ধরে। আজকের রায়কে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেখছে রাজনৈতিক মহল।

এই মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন, এবং রিটকারী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল এবং ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। এছাড়া, ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এবং চার আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী।

এই রায়ের ফলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অবস্থা নতুন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে। সিএনজি, সংসদীয় নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে এই রায় দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের বিধান বাতিল, ফিরল ‘তত্ত্বাবধায়ক’

আপডেট সময় ০৫:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের হাইকোর্ট মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) গুরুত্বপূর্ণ একটি রায় ঘোষণা করেছে, যেখানে দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের বিধান বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও গণভোট পুনঃপ্রবর্তনের পক্ষে রায় প্রদান করেছে। একই সাথে সংবিধান বহির্ভূতভাবে ক্ষমতা দখল সংক্রান্ত ৭-এর ক ও খ অনুচ্ছেদও বাতিল করা হয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। এই রায়ের মাধ্যমে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারী রুলটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এছাড়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের পর ওই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আদালত এদিন রায় দেন। রুলটি গত ৫ ডিসেম্বর জারি করা হয়েছিল, এবং এর শুনানি চলে ২৩ কার্যদিবস ধরে। আজকের রায়কে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেখছে রাজনৈতিক মহল।

এই মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন, এবং রিটকারী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল এবং ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। এছাড়া, ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এবং চার আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী।

এই রায়ের ফলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অবস্থা নতুন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে। সিএনজি, সংসদীয় নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে এই রায় দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।