কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্র শিশু আবুল হোসেনকে হত্যা মামলায় একজনকে ফাঁসি ও অপর দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা দিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার (০৬ নভেম্বর) দুপুরে জেলা তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ রায় প্রদান করেন।
ঘোষিত রায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে দশ হাজার টাকা এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা পাওয়া দুই আসামীকে পাঁচ হাজার করে অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলা চলাকালে জামিনে গিয়ে পলাতক হওয়ায় রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফারুক এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত রিয়াজ উদ্দিন অনুপস্থিত ছিলেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামী নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বাদী ও আসামীরা পাকুন্দিয়া উপজেলার আঙ্গিয়াদি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার আঙ্গিয়াদি গ্রামের রেনু মিয়ার পুত্র আবুল হোসেন গত ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয়। দু’দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় একটি বিলের পানির তিন হাত গভীর থেকে বাঁশের খুঁটিতে বাধা অবস্থায় আবুল হোসেনের লাশ স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত আবুল হোসেনের মা নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাদী লিখিত এজাহারে অভিযোগ করেন, তার ছেলের সাথে থাকা মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যেই আসামীরা তাকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু পরে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফারুক আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে জানান, তার মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে সন্দেহে আবুল হোসেনকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে বাঁশের খুঁটিতে বেঁধে পানির নীচে ডুবিয়ে রাখে।