জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আছমা লাবনীর উপর বর্বরোচিত ও পৈশাচিক হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাসপাতালে গিয়ে শেষ হয়।
বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের সম্মিলিত পদক্ষেপে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হকসহ অন্যান্য ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
জানা যায়, সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল ৫ টার দিকে বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন পৌর শহরের চরকাউরিয়া সীমারপাড়া এলাকার বাসু মিয়ার ছেলে রিক্সাচালক রজব আলী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তার মৃত্যু হলে রজব আলীর স্বজন ও স্থানীয় এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসমা লাবনীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে অর্নিদিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন হাসপাতালের সকল স্টাফরা । এতে করে হাসপাতালে ভর্তি রোগীসহ সেবা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পরে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ৪ টার দিকে সেবাদান কার্যক্রম চালু করেন হাসপাতালের সকল স্টাফরা।
মঙ্গলবার রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক বাদী হয়ে ৮ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের আহমেদ জানান, হাসপাতালে নারী চিকিৎসকের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনার মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।