বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার মোল্লাপাড়া দুর্গা মন্দিরের আলোকসজ্জার লাইট চুরি করে নেয়ার সময় মন্দিরের দায়িত্বরত আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা ছয় যুবককে হাতেনাতে আটক করে প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) মধ্য রাতে এই ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটককৃতদের আগৈলঝাড়ায় থানায় হস্তান্তর করেছে।
মোল্লাপাড়া দুর্গা মন্দির পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মালাকার জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে বিদ্যুৎ না থাকা অবস্থায় ৯-১০ জনের একটি কিশোর দল মন্দিরের আলোকসজ্জার দুইটি স্টেপের মরিচ বাতি খুলে চুরি করে নিয়ে যাবার সময় মন্দিরের দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য তা দেখতে পেয়ে একজনকে আটক করে চিৎকার করলে স্বেচ্ছাসেবকরা এগিয়ে এসে ওই দলের ছয়জনকে আটক করে। আটককৃতরা সবাই পার্শ্ববর্তী গ্রাম বারহাজার ও মোহনকাঠী গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি একজন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠান। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটককৃতদের ওই রাতে গৌরনদী সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যান। শুক্রবার সকালে সেনা সদস্যরা আটককৃতদের আগৈলঝাড়া থানায় সোপর্দ করেন।
নির্বাহী অফিসার জানান, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় আটককৃতরা কিশোর হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দীনেশ হালদারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে কিছুক্ষণ পরে ফোন দিতে বলেন। তবে পরবর্তীতে তাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন জানান, গত রাতে কিছু উঠতি বয়সী দুষ্কৃতিকারী পূজা মণ্ডপের আলোকসজ্জা ছিড়ে নিয়ে যাবার চেস্টা করলে আনসার ও পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা তাদের ধরে ফেলে আর্মি, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেয়। প্রশাসন তাদের আটক করে নিয়ে আসে।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) সুশান্ত মল্লিক জানান জানান, আটককৃতদের সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। কোনো নাশকতার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের অভিভাবদের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।