ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন বগুড়ায় দিনের বেলা চাকু দিয়ে কুপিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই সংবাদ প্রচারের পর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের চুরি হওয়া মূল্যবান সেগুন গাছের ১৬ টি খন্ডাংশ উদ্ধার ঢাকা ওয়াসায় আওয়ামী অপশাসন রোধ ও সুশাসন নিশ্চিত কল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি যার সুফল নগরবাসী ইতিমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ওয়াসা আগামীর বাংলাদেশ আমরা তরুণদের হাতে তুলে দেবো: ডা. শফিকুর রহমান যশোরে আলাদা দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ আহত ১৫ নাগরপুরে ভবন নির্মাণে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন সাবেক সমাজকল্যাণ সচিব ইসমাইল হোসেন গ্রেফতার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য শেহজাদের অদ্ভুত প্রস্তাব নতুন ভাইরাস ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’র লক্ষণ ও প্রতিকার বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে ফের বসবে সমমনা দলগুলো কাজের প্রতি সৎ থাকার দাবী করলেন তানজিন তিশা

সাজেক ছাড়লেন আটকা পড়া ১৪০০ পর্যটক

সেনা সহায়তায় সাজেক ছাড়ছেন আতকে পরা পর্যটকরা।

সাজেক ভ্যালিতে অবরোধের কারণে আটকে পড়া প্রায় ১ হাজার ৪০০ পর্যটক অবশেষে নিরাপদে ঘরে ফিরছেন। পাহাড়ি অঞ্চলে সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের কারণে শনিবার থেকে সাজেকে তারা আটকা পড়েন।

অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকায় পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে খাদ্য, পানি ও বিদ্যুতের সংকট দেখা দেয়। তবে মঙ্গলবার অবরোধ শেষ হলে আটকা পড়া পর্যটকরা সাজেক ছাড়তে শুরু করেন।

সেনাবাহিনীর সহায়তায় এর আগে অন্তত ৩৫ জন পর্যটককে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পৌঁছানো হয়। রোববার বিকেল এবং সোমবার সকালে সেনাবাহিনীর ৭টি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাদেরকে সাজেক থেকে সরিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

মঙ্গলবার ( ২৪ সেপ্টেম্বর ) সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের তত্ত্বাবধানে সাজেক থেকে পর্যটকদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ১১২টি পিকআপ, জীপ, ২৩টি সিএনজি এবং শতাধিক মোটরসাইকেলে করে পর্যটকরা সাজেক ছাড়েন।

সাজেক কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেববর্মন জানিয়েছেন, ‘আটকে থাকা পর্যটকদের নিরাপদে ফিরতে সহায়তা করা হয়েছে এবং তাদের অনেককেই ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়েছে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ মওকুফও করা হয়েছে।’


টানা ৩ দিন অবরোধের কারণে সাজেকের পরিস্থিতি দ্রুতই জটিল হয়ে ওঠে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি পানির সংকটও তৈরি হয়। সাজেকের রিসোর্ট ও কটেজগুলোর বিদ্যুৎ জেনারেটর বন্ধ থাকায় গরমে অনেক পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিদ্যুৎ ও পানির পাশাপাশি খাদ্যেরও সংকট দেখা দেয়। কারণ সাজেকের খাবারের মজুদ সীমিত এবং দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে বাঘাইহাট বাজার থেকে খাবার সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

সাজেক অবকাশ ইকো কটেজের ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘সংকটকালীন সময়ে পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার বা পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, ফলে অনেক রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিতে হয়।’

তিনি আরও জানান, ‘সাধারণত অগ্রিম খাবারের মজুদ রাখা হয় না। কারণ প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় সরবরাহ বাঘাইহাট বাজার থেকে আসে।’

অবরোধ চলাকালীন সময়ে নারী, শিশু, এবং চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ সাজেকে আটকা পড়েন। অনেকেই ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি। অবরোধের কারণে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তবে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে পর্যটকরা আশ্বস্ত হন অবরোধ শেষে তারা নিরাপদে ফিরতে পারবেন।

মঙ্গলবার অবরোধ শেষ হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে পর্যটকরা অবশেষে তাদের গন্তব্যে ফিরে যেতে শুরু করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন

সাজেক ছাড়লেন আটকা পড়া ১৪০০ পর্যটক

আপডেট সময় ০৭:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাজেক ভ্যালিতে অবরোধের কারণে আটকে পড়া প্রায় ১ হাজার ৪০০ পর্যটক অবশেষে নিরাপদে ঘরে ফিরছেন। পাহাড়ি অঞ্চলে সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের কারণে শনিবার থেকে সাজেকে তারা আটকা পড়েন।

অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকায় পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে খাদ্য, পানি ও বিদ্যুতের সংকট দেখা দেয়। তবে মঙ্গলবার অবরোধ শেষ হলে আটকা পড়া পর্যটকরা সাজেক ছাড়তে শুরু করেন।

সেনাবাহিনীর সহায়তায় এর আগে অন্তত ৩৫ জন পর্যটককে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পৌঁছানো হয়। রোববার বিকেল এবং সোমবার সকালে সেনাবাহিনীর ৭টি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাদেরকে সাজেক থেকে সরিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

মঙ্গলবার ( ২৪ সেপ্টেম্বর ) সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের তত্ত্বাবধানে সাজেক থেকে পর্যটকদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ১১২টি পিকআপ, জীপ, ২৩টি সিএনজি এবং শতাধিক মোটরসাইকেলে করে পর্যটকরা সাজেক ছাড়েন।

সাজেক কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেববর্মন জানিয়েছেন, ‘আটকে থাকা পর্যটকদের নিরাপদে ফিরতে সহায়তা করা হয়েছে এবং তাদের অনেককেই ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়েছে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ মওকুফও করা হয়েছে।’


টানা ৩ দিন অবরোধের কারণে সাজেকের পরিস্থিতি দ্রুতই জটিল হয়ে ওঠে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি পানির সংকটও তৈরি হয়। সাজেকের রিসোর্ট ও কটেজগুলোর বিদ্যুৎ জেনারেটর বন্ধ থাকায় গরমে অনেক পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিদ্যুৎ ও পানির পাশাপাশি খাদ্যেরও সংকট দেখা দেয়। কারণ সাজেকের খাবারের মজুদ সীমিত এবং দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে বাঘাইহাট বাজার থেকে খাবার সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

সাজেক অবকাশ ইকো কটেজের ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘সংকটকালীন সময়ে পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার বা পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, ফলে অনেক রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিতে হয়।’

তিনি আরও জানান, ‘সাধারণত অগ্রিম খাবারের মজুদ রাখা হয় না। কারণ প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় সরবরাহ বাঘাইহাট বাজার থেকে আসে।’

অবরোধ চলাকালীন সময়ে নারী, শিশু, এবং চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ সাজেকে আটকা পড়েন। অনেকেই ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি। অবরোধের কারণে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তবে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে পর্যটকরা আশ্বস্ত হন অবরোধ শেষে তারা নিরাপদে ফিরতে পারবেন।

মঙ্গলবার অবরোধ শেষ হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে পর্যটকরা অবশেষে তাদের গন্তব্যে ফিরে যেতে শুরু করেন।