বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুণ্ডি গ্রামে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে কথিত প্রেমিক। পরে সেই ভিডিও দিয়ে ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করে কথিত প্রেমিকের আরেক বন্ধু।

এ ঘটনায় শনিবার (০৮ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।

এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলায় অভিযুক্ত মো. সুজন মিয়া নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। সে ধনকুণ্ডি গ্রামের এজাব আলীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুন্ডি গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে তার স্ত্রী একটি কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রান্না করে খাওয়াতেন। আর এই সুযোগে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা এলাকার সৈয়দ আলী সরকারের ছেলে তাজুল ইসলাম ওই বাড়িতে যাতায়াত করতো। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ব্যক্তির ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে তাজুল ইসলাম। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২৬ আগস্ট রাতে শয়নকক্ষে ঢুকে ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আর কথিত প্রেমিকের আরেক বন্ধু সুজন মিয়া গোপনে ওই ধর্ষণের চিত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করেন।

পরবর্তীতে ভিডিওটি স্কুলছাত্রীকে দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় সুজন। অন্যথায় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ব্ল্যাকমেইল করে বিগত ০৫ অক্টোবর সুজন মিয়া ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এছাড়া ভিডিওটি লম্পট সুজন তার আরো ৪ সহযোগীকে দেন এবং তাদের নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে ছড়িয়ে দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এই ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে সুজন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে রবিবার (০৯ মার্চ) বিকেলে বগুড়ায় জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।” বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।