ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
অবৈধ ইটভাটার মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জরিমানা ও জ্বালানি কাঠ জব্দ মিরপুরে ‘বসন্ত ঈদ উৎসব ২০২৫’ মেলা, থাকছে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনী ২০০১ সালের পরে দেশে যা নির্বাচন হয়েছে, তা তামাশার নির্বাচন হয়েছে: এম নাসের রহমান রোজা না রাখায় বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে উঠবস করালেন বণিক সমিতির সভাপতি মুক্তাগাছায় পশুর হাটে হামলা, ইজারার লক্ষাধিক টাকা লুট পাবনা পৌরসভার সাপ্লাই পানিতে ময়লা ও তীব্র দুর্গন্ধ, অতিষ্ঠ শহরবাসী জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান সমস্যা সামাধান করতে হবে: মাওলানা মুসা বিন ইযহার বগুড়ায় গলায় চাকু ঠেকিয়ে টাকা ও মোবাইল ছিনতাই নরসিংদীতে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার পাইকগাছায় চিংড়ি ঘেরে পানি তুলতে না দিয়ে  চাঁদার দাবির প্রতিবাদে মানববন্ধন লক্ষ্মীপুরে সেমাই উৎপাদনে ক্ষতিকারক রং, ব্যবসায়ীকে জরিমানা লাখ টাকা তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি, মির্জাপুরে মামলা নেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৩ ডাকাত গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা নেয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাভার মডেল থানার গেন্ডা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গুপ্তচরের তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন, নগদ ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি ছুরি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত তিন ডাকাত হলেন- মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহিদ (২৯), শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ (৩০) ও ঢাকা জেলার সাভার থানার ৯নং ওয়ার্ড টান গেন্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ (২৮)।

গ্রেফতারকৃত শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহিত (২৯) এর বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানায় ১টি, ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানায় ১টি বাস ডাকাতি মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।

টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সবুজ ও শরীফ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। অপর আসামী শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহিদকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন থাকায় তাকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত অনুমান ০১.৪৫ মিনিট থেকে রাত অনুমান ০৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঢাকা-রাজশাহী পথের ইউনিক রোড রয়েলস্ পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ঘটনার তিনদিন পর শুক্রবার ভোরে মির্জাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়। ডাকাতদের কবলে পড়া ওমর আলী নামের এক যাত্রী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মির্জাপুর থানার মামলা নং- ১৭(০২)২৫।

ওমর আলীর বর্ণনা মতে, সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে ঢাকার গাবতলি থেকে ইউনিক রোড রয়েলস্ পরিবহনের বাসটি ছেড়ে আসে। সাড়ে ১২টার দিকে ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে। পরে তারা কয়েকজনকে জখম করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাসটি বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি শেষে বাস থামিয়ে তারা নেমে যায়। ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানান।

পরে যাত্রীদের চাপের মুখে বাস নিয়ে যাত্রা শুরু করেন চালক। মঙ্গলবার বেলা ১১টার পরে যাত্রীরা বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান। বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে বাসটি বড়াইগ্রাম থানায় ঢোকানো হয়।

এ সময় বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও তার সহকারী মাহবুব আলমকে (২৮) আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালতের মাধ্যমে জামিনে ছাড়া পান।

এই বিষয়ে গত বুধবার একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অবশেষে ঘটনার তিনদিন পর মির্জাপুর থানা ডাকাতির ঘটনার মামলা নেওয়ার পর তিনজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধ ইটভাটার মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জরিমানা ও জ্বালানি কাঠ জব্দ

Verified by MonsterInsights

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি, মির্জাপুরে মামলা নেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৩ ডাকাত গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৯:১৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা নেয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাভার মডেল থানার গেন্ডা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গুপ্তচরের তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন, নগদ ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি ছুরি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত তিন ডাকাত হলেন- মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহিদ (২৯), শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ (৩০) ও ঢাকা জেলার সাভার থানার ৯নং ওয়ার্ড টান গেন্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ (২৮)।

গ্রেফতারকৃত শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহিত (২৯) এর বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানায় ১টি, ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানায় ১টি বাস ডাকাতি মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।

টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সবুজ ও শরীফ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। অপর আসামী শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহিদকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন থাকায় তাকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত অনুমান ০১.৪৫ মিনিট থেকে রাত অনুমান ০৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঢাকা-রাজশাহী পথের ইউনিক রোড রয়েলস্ পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ঘটনার তিনদিন পর শুক্রবার ভোরে মির্জাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়। ডাকাতদের কবলে পড়া ওমর আলী নামের এক যাত্রী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মির্জাপুর থানার মামলা নং- ১৭(০২)২৫।

ওমর আলীর বর্ণনা মতে, সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে ঢাকার গাবতলি থেকে ইউনিক রোড রয়েলস্ পরিবহনের বাসটি ছেড়ে আসে। সাড়ে ১২টার দিকে ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে। পরে তারা কয়েকজনকে জখম করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাসটি বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি শেষে বাস থামিয়ে তারা নেমে যায়। ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানান।

পরে যাত্রীদের চাপের মুখে বাস নিয়ে যাত্রা শুরু করেন চালক। মঙ্গলবার বেলা ১১টার পরে যাত্রীরা বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান। বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে বাসটি বড়াইগ্রাম থানায় ঢোকানো হয়।

এ সময় বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও তার সহকারী মাহবুব আলমকে (২৮) আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালতের মাধ্যমে জামিনে ছাড়া পান।

এই বিষয়ে গত বুধবার একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অবশেষে ঘটনার তিনদিন পর মির্জাপুর থানা ডাকাতির ঘটনার মামলা নেওয়ার পর তিনজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।