রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আন্দোলন পুলিশের হস্তক্ষেপে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।
আন্দোলনকারীরা সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে, যা বৈষম্যমূলক। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করেন। আদালত মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশ দেন। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর একই নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, সরকারই তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল, কিন্তু এখন সেই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। তারা এটিকে প্রতারণা হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত রায় বাতিল ও নিয়োগ চূড়ান্ত করার দাবি জানান।
আন্দোলনকারী সাব্বির সাদেক বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ আমরা এখান থেকে সরব না।”
পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর সীমিত পরিসরে যান চলাচল শুরু হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপের পর আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়ে চলে গেলেও তাদের ক্ষোভ রয়ে গেছে। তারা সরকারের কাছে দ্রুত তাদের দাবি পূরণের আহ্বান জানিয়েছেন।